ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গরুর দুধে ‘সোনা’র হদিস দিয়েছিলেন।
এবার দিলীপ ঘোষ জানালেন, বিদেশ থেকে যে গরু আনা হয়, তা ‘হাম্বা’ আওয়াজ করে না। যে ‘হাম্বা’ ডাকে না, সে গরুই নয়। গোমাতা নয়, সেটা আন্টি। আন্টির পুজো করে দেশের কল্যাণ হবে না।
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বর্ধমান শহরের টাউন হলে ‘ঘোষ এবং গাভী কল্যাণ সমিতি’র সভায় সোমবার দাবি করেন, ‘গরুর দুধে সোনার ভাগ থাকে। তাই দুধের রং হলুদ হয়।’
তার ব্যাখ্যা, ‘দেশি গরুর কুঁজের মধ্যে স্বর্ণনাড়ি থাকে। সূর্যের আলো পড়লে, সেখান থেকে সোনা তৈরি হয়।’
দিলীপের এ বক্তব্যে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের প্রতিক্রিয়া, ‘গরুর দুধে সোনার তত্ত্ব শুনে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়।’ মঞ্চে এদিন শুধু গোসোনাতেই থেমে থাকেননি দিলীপ।
গো-সম্পর্ক নিয়েও শুনিয়েছেন আরেক না শোনা কথা। বললেন, ‘বিদেশ থেকে যে গরু আনা হয়, তা ‘হাম্বা’ আওয়াজ করে না। যে ‘হাম্বা’ ডাকে না, সে গরুই নয়। গোমাতা নয়, ওটা আন্টি। আন্টির পুজো করে দেশের কল্যাণ হবে না।’
‘তত্ত্ব’ শুনে বিজ্ঞানী-বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের চোখ কপালে উঠে গেছে। তাদের স্বীকারোক্তি, এমন বৈজ্ঞানিক গবেষণা পৃথিবীর কোথাও হয়েছে বলে তাদের জানা নেই। এর আগে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি মন্ত্রী রেখা আর্য দাবি করেছিলেন, ‘গরুই একমাত্র পশু, যে শ্বাস গ্রহণের সময় শুধু অক্সিজেন গ্রহণ করে না, প্রশ্বাসের সঙ্গে তা পরিবেশে ফিরিয়েও দেয়।’
বিজেপি সংসদ সদস্য সাধ্বী প্রজ্ঞাও দাবি করেছিলেন, তিনি স্তনের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। গোমূত্র পান করে আর পঞ্চগব্য গ্রহণ করে নিজেকে সারিয়ে তুলেছেন।
তা বলে গোদুগ্ধে ‘সোনা’? বছর তিনেক আগে গুজরাটের জুনাগড় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ গিরের চারশ’ গরুকে নিয়ে সমীক্ষার পরে দাবি করেন, গোমূত্রে সোনা আছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস’-এর কর্মকর্তা তড়িৎ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘পৃথিবীর কোথাও গরুর দুধের রাসায়নিক বিশ্লেষণে সোনা মিলেছে বলে জানা নেই।” টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা