অনলাইন ডেস্ক
চলতি বছর আইপিএল নিলামের আগেই মালিঙ্গা জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি আর ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলবেন না। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাকে রিলিজ করে দিয়েছিলো। মঙ্গলবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও পোস্ট করে ক্রিকেট থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।
২০১১ সালে মালিঙ্গা না বলে দেন টেস্ট ক্রিকেটকে। আর ওয়ানডে ক্রিকেটকে গুডবাই বলে দেন ২০১৯ সালে। এবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন তারকা পেসার মালিঙ্গা।
মালিঙ্গা সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেন ২০২০ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে তাকে রাখা হয়নি। তবে করোনার গত বছর স্থগিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল তারই।
২০০৪ সালের জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাব মালিঙ্গার। ১৭ বছরের বর্ণিল ক্যারিয়ারে তার প্রাপ্তি অনেক। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তিন ফরম্যাট মিলে নিয়েছেন ৫৪৬ উইকেট।
নিজের প্রজন্মে অন্যতম সেরা বোলার মালিঙ্গা ৮৪ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০৭ উইকেট নিয়েছেন। ২২৬ ওয়ানডেতে ৩৩৮ উইকেট তার। ৩০ টেস্ট ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ১০১ উইকেট।
প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি মালিঙ্গার। যখন থামলেন, টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষে তিনি। তবে খুব দ্রুতেই হয়তো সাকিব আল হাসানের (১০৬ উইকেট) কাছে সেই শীর্ষ স্থান হারাবেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে দুইবার হ্যাটট্রিকের কীর্তি মালিঙ্গার। ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন তিনবার। ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার বোলিং তো ইতিহাস হয়ে আছে। ক্যারিয়ারে দুইবার তিনি চার বলে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
আইপিএলের ইতিহাসেও অন্যতম সেরা বোলার মালিঙ্গা। ১২২ ম্যাচে নিয়েছেন ১৭০ উইকেট। ১২ বছর তিনি খেলেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে। দলটির পাঁচ শিরোপার চারটিতেই ছিলেন দলে। বাবার অসুস্থতার কারণে ২০২০ সালের আইপিএলে খেলত পারেননি তিনি।
মালিঙ্গার অবসরের সঙ্গেই শেষ হয়ে গেলো একটা অধ্যায়ের। সর্বকালের অন্যতম সেরা জোরে বোলারদের তালিকাতেই থাকবেন তিনি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা