অনলাইন ডেস্ক
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে ভ্যাকসিন ইস্যু ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, হাসপাতালে বেড বেড়েছে। আইসিইউ বাড়ানো হয়েছে। সারা দেশের ১৩০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন দেওয়া হয়েছে। করোনা চিকিৎসায় ২০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় করোনা রোগীর জন্য আড়াই হাজার বেড ছিল। এখন সাত হাজার বেড আছে। এটা আমরা রাতারাতি করতে সক্ষম হয়েছি। প্রতিটি হাসপাতালেই করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। টিবি হাসপাতাল, গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটেও করোনা চিকিৎসা হচ্ছে। মাত্র ২০ দিনে ডিএনসিসি মার্কেটে এক হাজার বেডের হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। এখানে ২০০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। সারা বিশ্বেই টিকার সংকট রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের ১০টি ধনী রাষ্ট্র ৭০ ভাগ ভ্যাকসিন কিনে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫০-৬০টি দেশ ভ্যাকসিনই পায়নি।
চলমান লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লকডাউনই একমাত্র উপায় নয়। লকডাউন দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ট্রান্সমিশন (সংক্রমণ) কমিয়েছে। তবে লকডাউনের নেতিবাচক দিকও আছে। এতে দারিদ্র্য ও সামাজিক অস্থিরতা বেড়ে যায়।
লকডাউনের উপকার পাওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ ২৪ থেকে ১৩-তে নেমে এসেছে। লকডাউনের বড় ফল পেয়েছি। কিন্তু লকডাউন তো সব সময় হতে পারে না। মাস্ক পরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা, স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং অনুষ্ঠানে না যাওয়ার মতো দীর্ঘমেয়াদি উপায় মেনে চলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ (দ্বিতীয় ঢেউ)’ কীভাবে আসলো সেটা জানা উচিত। না হলে আমরা ‘থার্ড ওয়েভের’ দিকে যাবো।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা