কোনও বিখ্যাত ব্যক্তির নামে স্টেডিয়াম-রাস্তার নাম কিংবা শহরের নামও রাখা যায়। কিন্ত কোনও কীট-পতঙ্গের নাম রাখা মনে হয় এর আগে কখনো হয়নি।
এবার ভারতরত্ন ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকরের নামে নতুন এক প্রজাতির মাকড়সার নামকরণ করলেন এক প্রাণীবিজ্ঞানী। নাম রাখলেন ‘মারেঙ্গো সচিনতেন্ডুলকর’।
গুজরাট ইকোলজিকাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশনে জুনিয়ার গবেষক ধ্রুব প্রজাপতি। ছোট থেকেই কীট-পতঙ্গের বিষয়ে বেজায় আগ্রহ ধ্রুব প্রজাপতির।
বর্তমানে মূলত ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের নানান প্রজাতির মাকড়সাই তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু। আর সেই সূত্রেই একেবারে নতুন দুই প্রজাতির মাকড়সা আবিস্কার করেছেন ধ্রুব।
ছোটো থেকে নিজের ভালোলাগাকেই বড় হয়ে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এর জন্য তিনি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সচিন তেন্ডুলকরের থেকে।
তাই নতুন প্রজাতির এই মাকড়সা আবিস্কারের পর নিজের অনুপ্রেরণা সচিনের নাম রাখলেন ধ্রুব। অন্য এক মাকড়সার নাম রাখলেন কেরলের শিক্ষাবিদ সেন্ট কুরিয়াকোস এলিয়াস চাভারার নামে, যিনিও ধ্রুব-এর আর এক অনুপ্রেরণা।
এই আবিস্কার ও নামকরণ করে খুশি ধ্রুব। তিনি বলেন, “মারেঙ্গো সচিনতেন্ডুলকর নাম কারণ সচিন তেন্ডুলকর আমার প্রিয় খেলোয়াড়। ২০১৫ সালে আমি মারেঙ্গো সচিনতেন্ডুলকরের বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু গবেষণার কাজ ও চিহ্নিত্বকরণ নিশ্চিত করতে করতে ২০১৭ হয়ে গেল।”
মাকড়সার এই স্পেসিমেন খুঁজে পেতে ধ্রুবকে সাহায্য করেছে তাঁর সহকর্মী। আবিস্কৃত এই দুই মাকড়সার নাম বিশ্বের মাকড়সার বৈজ্ঞানিক নিবন্ধে স্থান পেয়েছে ইতিমধ্যেই।
ধ্রুব বলেছেন, “মাকড়সা চিহ্নিত করার মূল পদ্ধতি হল তাদের চোখটা পর্যবেক্ষণ করা। শক্তিশালী মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে এই কাজ করে থাকি আমরা।”
এর আগে লিটল মাস্টারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারির নাম পাল্টে ফেলার নজির রয়েছে। তাকে সম্মান জানিয়ে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে রয়েছে শচীন তেন্ডুলকর স্ট্যান্ড। তবে তার নামে কোনো পশু-পাখির নাম ছিল না।কলকাতা টাইমস২৪।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা