অনলাইন ডেস্ক
মরক্কোয় ফুটবলকে ভিন্ন মর্যাদা দেয়া হয়। তবে সেই খবর বহির্বিশ্বের কাছে খুব বেশি হয়তো পৌঁছেনি। তবে এই আসরকে বেশ গুরুত্বের সাথেই নিয়েছিল দেশটি। মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগ্রাগি দলের দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র ৬ ম্যাচ আগে। আর সেই ৬ ম্যাচ জুড়ে কোনো গোলই খায়নি মরক্কো। আর ২ ম্যাচ শেষে গ্রুপ এফ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলোর দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে জিয়েচ-হাকিমির মরক্কো। আর সেটা নিশ্চিত হলেই র্যাঙ্কিংয়ের ২ নম্বর দল বেলজিয়াম কিংবা গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া; এই দুইদলের মধ্যে যে কাউকে দেশের বিমানে চড়তে হবে!
অন্যদিকে, বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্ম বৈশ্বিক আসরে এখনও জিততে পারেনি কোনো শিরোপা। এডেন হ্যাজার্ড নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। চোটের কারণে এখনও শতভাগ ফিট হতে পারেননি রোমেলু লুকাকু। উইটসেল, দ্রিস মের্টেন্সরা পারছেন না ব্যবধান গড়ে দিতে। আল থুমামা স্টেডিয়ামেও নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন দলের প্রাণভোমরা কেভিন ডি ব্রুইনা। প্রথম ম্যাচের মতো আজ আর গোল পাননি মিচি বাতশুয়াই। আর অস্বাভাবিক রকমের পিচ্ছিল গ্লাভস জোড়া হাতে গলিয়ে যেন নেমেছিলেন থিবো কর্তোয়া!
ম্যাচের শুরু থেকেই বেলজিয়ামের রক্ষণে প্রায়ই হানা দেন আশরাফ হাকিমি, নেসাইরি, জিয়েচরা। তবে কর্তোয়ার দেয়াল ও বেলজিয়াম রক্ষণ ভাঙা যাচ্ছিল না। তবে প্রথমার্ধ শেষের মুহূর্তখানিক আগে হাকিম জিয়েচের বাঁক খাওয়ানো ফ্রি কিক থিবো কর্তোয়াকে পরাস্ত করে জালে জড়ালে উল্লাসে মাতেন মরক্কোর ফুটবলাররা। তবে অল্প সময় পর ভিএআরের সহায়তায় অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল বলে ঘোষণা করেন রেফারি। তাই প্রথমার্ধে আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি মরক্কোর।
দ্বিতীয়ার্ধেও দুই প্রান্তেই চলেছে একের পর এক আক্রমণ। অনানা, এডেন হ্যাজার্ডদের বদলে নামানো হয় তিলেমান্স, মার্টেন্সদের। অন্যদিকে, নতুন পা ব্যবহার করেন মরক্কো কোচ ওয়ালিদ রেগ্রাগি। আশরাফ হাকিমি ও আমাল্লাহকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সাইড বেঞ্চে। ৭৩ মিনিটে পাল্টে যায় ম্যাচের গতি। বদলি হিসেবে নামা আবদেলহামিদ সাবিরির বাঁক খাওয়ানো ফ্রি কিকে আবারও বিভ্রান্ত হন কর্তোয়া। তবে এবার আর ভাগ্যের সহায়তা পাননি সময়ের এই অন্যতম সেরা গোলরক্ষক। ভিএআরে বাতিল হয়নি গোল। তাই, গোল শোধে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে যান ডি ব্রুইনারা। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। রোমেলু লুকাকু নেমেও মাঠে প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি তার প্রভাব।
উল্টো, ম্যাচের অন্তিম সময়ে বেলজিয়ামের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন আরেক বদলি খেলোয়াড় জাকারিয়া আবোখলাল। গোলকিক থেকে বল পেয়ে হাকিম জিয়েচের ফ্লিক থেকে বল পান জাকারিয়া। দুরূহ কোণ থেকে তার দারুণ শটে আবারও পরাস্ত হন থিবো কর্তোয়া। আর উল্লাসে মাতে মরক্কো শিবির। এরপর অল্প সময় পরই খেলা শেষের বাঁশি বাজান রেফারি। মরক্কোর সামনে থেকে যায় ঐতিহাসিক জয় উদযাপনের এক স্মরণীয় রাত।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা