অনলাইন ডেস্ক
শামীম ওসমান বলেন, আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধু যেদিন দেশে ফিরে এসেছিলেন তখন বেঈমান মোশতাক কী সুন্দর কান্না করছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন তাজউদ্দীন চান নাই আপনি দেশে ফিরেন। সেই মুখোশ পরা লোকগুলি আমাদের আশেপাশেই আছে।
তিনি বলেন,, সততার কোনো রূপ বা চেহারা যদি থাকে সেটি হলো আমার নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আমি সৎ মানুষগুলোকে বেশি ভালোবাসি কারণ আমি একজন সৎ মানুষের ঘরে জন্মেছি। আমার দাদা খান সাহেব ওসমান আলী ১৯২২ সালে রোলস রয়েস গাড়ি কিনেছিলেন। আমার প্রয়াত বড় ভাই নাসিম ওসমানের বিয়ের রাতে ছিলেন প্রয়াত শেখ কামাল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নববধূকে রেখে আমার ভাই নাসিম ওসমান চলে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে।
শামীম ওসমান বলেন, আমার বাবা একেএম সামসুজ্জোহাকে খুনি মোশতাক তার মন্ত্রী পরিষদে যোগ দিতে বলেছিল কিন্তু তিনি তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং গ্রেফতার হয়েছিলেন। আমরা ১ বেলা খেয়েছি, ৯শ টাকার জন্য কলেজে ফরমফিলাম করতে পারিনি। আমার বাবা একটি টাকাও রেখে যাননি। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার সময় আমার বাবাও সেখানে জেলখানায় ছিলেন। শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী চাচাকে ওজুও করতে দেয়া হয়নি। সেদিন তারা বলেছিলেন, আমাদের হত্যা করো আমরা মরেও প্রমাণ করতে চাই আমরা শেখ মুজিবের লোক ছিলাম। সেই রকম সৎ লোকগুলোর বড় অভাব এখন।
তিনি আরো বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষকে ভালবেসে, ইবাদত হিসেবে। ১৬ জুন বোমা হামলায় আমার ২০ জন লোক মারা গেছে। আমার চন্দন শীলের পা নেই তিনি এখনও ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজ করে খান। কোনো ধান্দাবাজি করেন না। এতেই আমার গর্ব লাগে। বোমা হামলায় আমি রক্তের মধ্যে শুয়েও বলেছিলাম, আপনারা শেখ হাসিনাকে বাঁচান। আমরা ওই রকমের রাজনীতিই করি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা