বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন (৮১) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কলকাতার হিন্দুস্তান পার্কের বাড়িতে তার জীবনাবসান ঘটে। কবি, সাহিত্যিক, লেখক, প্রাবন্ধিক নবনীতার প্রয়াণে সাহিত্য অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ভীষণ পরিচ্ছন্ন এবং প্রচণ্ডরকম রুচিশীল সাহিত্যিক হিসেবে নবনীতা দেবসেনের প্রচুর সুনাম ছিল।
পদ্মশ্রী, সাহিত্য একাডেমিসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারজয়ী নবনীতার জন্ম কলকাতায়। তিনি রাধারানি দেবী ও নরেন্দ্রনাথ দেবের কন্যা। বাবা ও মা দুইজনেই কবি। প্রথম উপন্যাস ‘আমি অনুপম’ ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত হয়। নানা রঙের লেখায় গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। একের পর এক লিখেছেন কবিতা, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনী, উপন্যাস। রম্যরচনাতেও নজরকাড়া মুন্সিয়ানা ছিল তার। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩৮।
আত্মজীবনীমূলক রম্যরচনা ‘নটী নবনীতা‘ গ্রন্থের জন্যে ১৯৯৯ সালে সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার পান নবনীতা দেবসেন। ২০০০ সালে পান ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘পদ্মশ্রী’। কবিতা ও গদ্য, উভয়ক্ষেত্রেই তিনি সিদ্ধহস্ত। তিনি দীর্ঘ দিন ‘রামকথা’ নিয়ে কাজ করছেন। সীতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তিনি রামকথার বিশ্লেষণ করেছেন। ‘চন্দ্রাবতী রামায়ণ’ তার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয় ১৯৫৯ সালে। তাদের দুই মেয়ে অন্তরা দেবসেন ও নন্দনা সেন। ১৯৭৬ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার পরে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান তিনি।
নবনীতা দেবসেনের মৃত্যুতে বাংলাভাষী মানুষদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকে টুইটারে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শোক প্রকাশ করছেন বাংলাভাষী তার ভক্তরা।
তার শেষকৃত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা