মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেছেন, আজ থেকে ২৫ বছর আগে বেইজিং ঘোষণা এবং কর্মপরিকল্পনা গৃহীত হয়। এটি নারীর অগ্রযাত্রার জন্য একটি মাইলফলক অর্জন। তবে নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ এনেছে। সকল নারীর উন্নয়ন সমানভাবে হয়নি।
সোমবার ( ১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১:৩০ মিনিটে জহুর হোসেন চৌধুরী হল, জাতীয় প্রেসক্লাব-ঢাকাতে বেইজিং ঘোষণা ও কর্মপরিকল্পনার ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। বেইজিং ঘোষণা ও কর্মপরিকল্পনার ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন কমিটির উদ্যোগে (কমিটির সদস্য সংগঠন: আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্র্যাক, ব্লাস্ট, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, অভিযান, নারী প্রগতি সংঘ, জাগো ফাউন্ডেশন, আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, এনগেজ মেন এন্ড বয়েজ নেটওয়ার্ক, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, ঢাকা ওয়াইডব্লিউ সিএ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং টার্নিং পয়েন্ট) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মডারেটর বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, বেইজিং ঘোষণা এবং কর্মপরিকল্পনার ২৫ বছরের পর্যালোচনার জন্য ইউএন উইমেন এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ইতোমধ্যে ১০ টি জেলা বিভাগীয় সংলাপ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২৫ বছরে নারীর অগ্রগতি, অগ্রগতি অর্জনে চ্যালেঞ্জ এবং চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য প্রদত্ত সুপারিশসমূহ সমন্বয় করে জাতীয় পর্যায়ে সংলাপ আয়োজন করে গত ৫ ডিসেম্বর । সুপারিশসমূহ এবং বেইজিং ঘোষণা ও কর্মপরিকল্পনার ২৫ বছর পূর্তিতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির পূর্বে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমের প্রেরিত বিভিন্ন মন্তব্য, সুপারিশ সংযোজন করা। এটি নারী আন্দোলনের একটি ধারাবাহিক কর্মপ্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, নারীর অনেক অর্জনের পরও তারা নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করে তাদের অধিকার রক্ষার জন্য যে অবকাঠামোর প্রয়োজন তা বেইজিং ঘোষণা এবং কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়নের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সিডও সনদের বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্ভব।
উদযাপন কমিটির সদস্য সংগঠন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর বলে, নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের জন্য আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে একসাথে। সিডও সনদের দুটি ধারার উপর এখনো সংরক্ষণ বহাল। এই সংরক্ষণ প্রত্যাহারে সরকারের সদিচ্ছা প্রয়োজন।
লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন এনগেজ মেন এন্ড বয়েজ নেটওয়ার্কের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন নারীর মানবাধিকার সংগঠন , গণ মাধ্যম, তরুণ প্রজন্ম, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে বেইজিং কর্মপরিকল্পনার পূর্ণ বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রেণী-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়- প্রজন্ম নির্বিশেষে কাউকে পিছনে ফেলে না রেখে নারী-পুরুষের সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে। নারী-পুরুষের সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে গণমাধ্যম।
সংবাদ সম্মেলনে আইন ও শালিস কেন্দ্রের প্রতিনিধি ফারহানা জামান,ব্র্যাক এর প্রতিনিধি রাখী বেগম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক রেখা সাহা, সংগঠন সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম, প্রকাশনা সম্পাদক সারাবান তহুরা, গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তা সহ প্রায় ৯০ জন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এ্যডভোকেসী এবং লবি পরিচালক জনা গোস্বামী।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা