একসময় রাজা-বাদশাহদের চলার বাহন হিসেব যে ঘোড়া ব্যবহার করা হতো, সে ঘোড়া এখন জমি চাষে ব্যবহার করছেন অনেক কৃষকেই।
গরু ও লাঙ্গল দিয়ে চাষাবাদ বিলুপ্ত প্রায়। এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ। কারণ এতে অল্প সময়ে অধিক জমি চাষাবাদ করা সম্ভব হয়।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ঘোড়া দিয়ে জমির চাষ করছেন এক কৃষক।
পৌষের শুরুতে উপজেলার প্রতিটি হাওরে বোরো আবাদের ধুম পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে জমি পরিচর্চা, চাষ ও ধানের চারা রোপন শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড শীতকে উপেক্ষা করে জমি আবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কোথাও জমির মালিক নিজে কোথাও মালিক শ্রমিকদের দিয়ে জমি আবাদ করাচ্ছেন।
সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে কৃষি চাষাবাদেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এক দিকে যেমন কৃষকেরা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত চাষাবাদ শুরু করেছে। অন্যদিকে গরুর হাল চাষ অনেকটা উঠিয়ে গেছে।
দু’টি ঘোড়া দিয়ে চাষাবাদ অনেকটা রূপ কথার গল্প মনে হলেও ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ করার বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটেছে দিনাজপুরে। দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ঝাড়বাড়ীর হাজরাডাঙ্গা ডাডুয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের দু’টি ঘোড়া দিয়ে ইরি-বোরো জমিতে চাষাবাদ করছেন।
যদিও আমরা এতদিন জানতাম, ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা, ঘোড়ার গাড়ির সৌখিনতার কথা। কিন্তু বর্তমানে গরুর বদলে ঘোড়া দিয়েই জমি চাষ করছেন কেও কেও। এমন দৃশ্যই দেখা গেছে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া এলাকায়।
বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের বেতবাড়ি এলাকার কৃষক রুবেল হোসেন গরুর বদলে ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ করছেন।
এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামে ঘোড়া দিয়ে ধানমাড়াই, যাঁতাকল ও হালচাষের মত কাজ করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধরখার, ঘোলখার, গাগুটিয়া, নিলাখাদ, আব্দুল্লাহপুর ও গাজীরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গরুর বদলে ঘোড়া দিয়ে জমিতে হালচাষ করা হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করাতে বেশি খরচ লাগে আর গরু দিয়ে হালচাষ করতে অধিক সময়ের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া এক জোড়া গরু দিয়ে দিনে ৪-৫ বিঘার বেশি হাল দেওয়া যায় না। অপরদিকে ঘোড়া দিয়ে খুব সহজেই দিনে ১০-১২ বিঘা জমি হাল দেওয়া যায় বলে এর ব্যবহার বেড়েই চলছে।
চুরির ভয় ও অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে গরু পালনে আগ্রহী হারাচ্ছেন অনেকেই, অপরদিকে ঘোড়া পালনে খরচ কম ও চুরির ভয় তেমন নেই বলে জানান।
তাছাড়া ঘোড়া বেশি পরিশ্রমী হওয়াতে বেশি পরিমাণ জমিতে হাল দেওয়া যায় বলে জানান কৃষকরা।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা