প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশে-বিদেশে দায়িত্ব পালনে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেখিয়ে আমাদের সেনাবাহিনী সব মহলের প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তোমাদের এই সুনাম আরও এগিয়ে নিতে হবে। বিশ্বের যেকোন প্রান্তের মানুষ শান্তি আর সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জানবে- এটিই আমার প্রত্যাশা।’
রোববার সকালে ভাটিয়ারী বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের প্রশিক্ষণ সমাপ্তি ও অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে সামরিক বাহিনীর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম এবং অনস্বীকার্য। এ কারণেই একটি প্রশিক্ষিত, শক্তিশালী ও দক্ষ সেনাবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কুমিল্লা সেনানিবাসে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির শুভ উদ্বোধন করেন। যা ছিল বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ।’
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে নবীন সেনা সদস্যসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সেনাবাহিনী দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সকল দেশ আমাদের বাহিনীর প্রশংসা করে। দেশকে ভালোবাসতে হবে। দেশের সম্মান বাড়াতে হবে।’
সেনাবাহিনীতে আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানা পদক্ষপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার দেয়া প্রতিরক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী আওয়ামী সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের বাহিনীকে আধুনিকভাবে গড়ে তোলার জন্য ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়ণের কাজ শুরু হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার ১৯৭৪ সালে প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকেই সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য আমরা ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছি। এর আওতায় আমাদের সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নতুন নতুন পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। আমাদের সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ২০০০ সালে সর্বপ্রথম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে মহিলা অফিসার নিয়োগ এবং ২০১৩ সালে সর্বপ্রথম মহিলা সৈনিক ভর্তির যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মহিলা কর্মকর্তাদের লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি প্রদান এবং কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দু’জন মহিলা অফিসার কনটিনজেন্ট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন।’
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা