অনলাইন ডেস্ক
এরপর তার শিকার জান্নেমান মালান। এই ডানহাতি ওপেনার সেঞ্চুরিয়নে দিনের শুরুতে বাউন্ডারির ফুলঝুরিতে এলোমেলো করে দিচ্ছিল বাংলাদেশকে। ভয় দেখাচ্ছিলেন বড় স্কোরের। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪৬। শরিফুলের করা প্রথম ওভার বাদে পাঁচ ওভারেই আসছিল বাউন্ডারি।
সপ্তম ওভারে মিরাজকে চার মারার পর উড়িয় মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন কুইন্টন ডি কক। পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন তাসকিন। এসেই যেন ম্যাচটা নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। প্রতি আক্রমণে থামিয়ে রাখেন রানের চাকা। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা শর্ট বলে পারদর্শী। তাদেরকে সেই শর্ট বলেই বারবার পরীক্ষা নেন ডানহাতি পেসার।
প্রথম ওভারে ৪ রান। পরের ওভারে মাত্র ১। শুরুর ২ ওভার করেছিলেন ধারাভাষ্য প্রান্তে।
তাসকিন তার তৃতীয় ওভারে ফেরেন অপরপ্রান্তে। প্রথম বলে চার হজম করলেও তৃতীয় বলে মেলে সাফল্য। ভেরিয়েন্নে আলগা শটে বল উইকেটে টেনে আনেন। পরের ওভারে মালানকে স্রেফ বিভ্রান্ত করেন। ক্রস সিম ডেলিভারিতে হালকা বাউন্স দিয়েছিলেন। উইকেটে বারবার শাফল করা মালান এবার ব্যাটে খোঁচা দিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ডানহাতি ওপেনারকে ৩৯ রানে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে তৃতীয় সাফল্য দেন এই পেসার।
তাসকিনের প্রথম ৫ ওভারের স্পেল ছিল এরকম ৫-০-১৭-২। এই স্পেলেই দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। তাসকিনের দেওয়া চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা হারায় আরো ২ উইকেট। সাকিবকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তাসকিনের জায়গায় শরিফুল বোলিংয়ে এসে ভয়ংকর বাউন্সারে প্রথম বলেই আউট করেন রাসি ফন ডার ডুসেনকে।
২১ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৫ উইকেটে ৯০। ম্যাচে অনেকটাই এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বোলারদের নৈপুণ্যে শেষটাও ভালো করার প্রত্যাশা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা