অনলাইন ডেস্ক
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৯৮৩ সালে রাজউকের ১০টি মার্কেট সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করতে আবেদন করা হয়। উভয় সংস্থার মধ্যে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে মার্কেটগুলো বিক্রি করে দেওয়ার পক্ষে একমত পোষণ করে। এরপর ৯টি মার্কেট ২৭ কোটি ৩৬ লাখ ৭৮ হাজার ২২২ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। মার্কেট ক্রয়ের পর অর্থ পরিশোধ না করলেও সব মার্কেট রাজউকের কাছ থেকে বুঝে নেয় সিটি করপোরেশন। তখন থেকেই এসব মার্কেট থেকে যা আয় হয়, তা ভোগ করতে থাকে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ; কিন্তু মার্কেট ক্রয়বাবদ রাজউক যে অর্থ পাওনা, তা পরিশোধ করেনি। বর্তমানে এ টাকা সুদাসলে দাঁড়ায় ৩০২ কোটি ৭৮ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৬ টাকা।
নথিপত্রের তথ্য বলছে, রাজউক যেসব মার্কেট বিক্রি করেছে, তার মধ্যে গুলশান সাউথ মার্কেট ৬ কোটি ৪৪ লাখ ৭৫ হাজার ৫১৬ টাকা, গুলশান নর্থ ডিআইটি মার্কেট ৩ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৬৩ টাকা, গুলশান কাঁচাবাজার মার্কেট ৩ কোটি ৩২ লাখ ৪১ হাজার ১১৪ টাকা, কারওয়ান বাজার ১ নম্বর মার্কেট ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৭১ হাজার ৭২৯ টাকা, কারওয়ান বাজার ২ নম্বর মার্কেট ১ কোটি ৬০ লাখ ৯৯ হাজার ৭০০ টাকা, ডিআইটি সুপার (সাকুরা) মার্কেট ৬৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭১৩ টাকা, ভিক্টোরিয়া ডিআইটি মার্কেট ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৪৮ টাকা, মিউনিসিপ্যালিটি স্ট্রিট মার্কেট ৩৬ লাখ ৬৯ হাজার ১২১ টাকা, বাদামতলী ঘাট ডিআইটি মার্কেট ৩৯ লাখ ৭ হাজার ৮৭২ টাকা এবং নওয়াব ইউসুফ মার্কেট ৫ কোটি ২৯ লাখ ৭৫ হাজার ৭৪৫ টাকায় বিক্রি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে গতকাল বিকেলে রাজউকের মেম্বার (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ নূরুল ইসলামকে বলেন, এটি অনেক আগের ঘটনা। টাকা আদায়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, তা জানা নেই। পাওনা টাকা আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা