অনলাইন ডেস্ক
দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব বাণী দিয়েছেন।
এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সমাজে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সংশ্লিষ্ট সকলে অবদান রাখার আহবান জানিয়েছেন।
‘আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০১৯’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারকে অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। অসচ্ছলতা, অজ্ঞতা ও নানাবিধ আর্থ-সামাজিক প্রতিকূলতার কারণে দেশের গরিব-দুঃখী ও সহায় সম্বলহীন জনগণ অনেক ক্ষেত্রে আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। সংবিধানে বর্ণিত ‘আইনের সমান আশ্রয়লাভ’ এর অধিকারকে বাস্তব রূপ দেয়ার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০’। আবদুল হামিদ বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিচারক, আইনজীবী, এনজিও কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগের ওপর নির্ভর করছে আইনি সহায়তা কার্যক্রমের সফলতা। তিনি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস – ২০১৯’ পালন সাফল্য কামনা করেন। অপরদিকে, এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজের সকল ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম স্বপ্ন ছিল সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার ও সুবিচার নিশ্চিত করা। তিনি ১৯৭২ সালে মহান সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং সব নাগরিকের আইনের আশ্রয় পাওয়ার সমানাধিকার নিশ্চিত করেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশে আইনের শাসন ও মৌলিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়। ’৭৫ পরবর্তী বিএনপি-জামাত জোট সরকার হত্যা, দমন, নির্যাতন ও নিপীড়নের রাজত্ব কায়েম করে। সুবিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয়। দেশের জনগণ আইনগত সহায়তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
বাণীতে তিনি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দেশব্যাপী ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০১৯’ পালন করা হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ এবং দিসবটির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। ২০১৬ সালে মন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকারি আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রমকে ডিজিটাইজেশন করা হয়। এ ব্যবস্থাপনার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় জাতীয় হেল্পলাইন কলসেন্টার ১৬৪৩০। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় লিগ্যাল এইড সেবা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে চালু করা হয় লিগ্যাল এইড অনলাইন কার্যক্রম।
করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর সীমিত পরিসরে দিবসটি উদ্যাপন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। দরিদ্র, অসহায় ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষকে আইনি সহায়তা প্রদানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে এবং দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরতে দেশের বিভিন্ন জেলায় সীমিত পরিসরে স্ব স্ব কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা