ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন শব্দগুলি আতঙ্কের সঞ্চার করে মানুষের মনে ৷ যে যেখানের বাসিন্দাই হোন, যতই নিরাপদ তাঁদের বাসস্থান হোক, এই সাইক্লোন বা টর্নেডোরা টনক নড়িয়ে দেয় না এমনটা প্রায় খুঁজে পাওয়া যায় না বললেই চলে৷
দিন কয়েক আগে ভারতের ওড়িশার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ফণী, তারপর তছনছ করে দিয়েছে বুলবুল ৷ ক্ষত এখনও টাটকা ৷ ফলে ঝড়ের স্মৃতি কখনই ফিরে আসুক চান না কেউই ৷
আর সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলেই সাইক্লোনিক স্টর্মের তীব্রতা বেশি পাওয়া যায় ৷ ফলে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে নতুন একটা ঝড় আসা মানেই আবার বড় একটা ক্ষয়ক্ষতির সম্ভবনা ৷
কিছুদিন আগেই সাইক্লোন ‘গীতা ’ এসেছিল আবার উপকূলে ফুঁসছে সাইক্লোন ‘রীতা’ ৷ প্রশান্ত মহাসাগরে এই মুহূর্তে নিজের শক্তি বাড়াচ্ছে এই সাইক্লোন রীতা ৷
নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া দফতর অত্যন্ত মন দিয়ে এই সাইক্লোনের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে ৷ নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজেও এই সাইক্লোনিক স্টর্মের আই অর্থাৎ যে জায়গায় মূল সেই ছবিটা দেখা যাচ্ছে ৷
কোস্ট গার্ড এর অভিযানে টেকনাফে বিয়ার ও হুইস্কিসহ মায়ানমার নাগরিক আটক
নিউজিল্যান্ডের এত কাছে ঝড়টি তৈরি হলেও যেহেতু তাদের দেশের ঠিক পাশেই উচ্চচাপ বলয় আছে তাই তারা আশা করছেন সাইক্লোনটি মারাত্মক হলেও তাদের দেশের খুব বেশি ক্ষতি হতে পারবেন না ৷ এই উচ্চচাপ বলয়ের জন্য ভানুয়াতুতে ঘুরে যাবে ঝড়ের মুখ আর সেখানেই হবে প্রবল বৃষ্টি ৷
‘রীতা’ এব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে ফিজির আবহাওয়া সংস্থা। এখন এই সাইক্লোন ক্যাটাগরি টু-তে রয়েছে , তবে খুব শিগগিরই এই ঘূর্ণিঝড় ক্যাটেগরি ওয়ান ট্রপিক্যাল সাইক্লোনে রূপান্তরিত হতে চলেছে।
জানা গেছে, দ্রুত এই সাইক্লোন ‘ক্যাটাগরি-২’ তে পরিণত হবে। ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে এগিয়ে আসছে সেই ঝড়। আছড়ে পড়ার আগে এর গতি হতে পারে ১৬০ কিমি।
‘রীতা’ এইবছরের (২০১৯-২০) প্রথম ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে। প্রত্যেক বছরেই ক্ষতিগ্রস্ত নিউজিল্যান্ড এই সময়েই ভানুয়াতুর অনেকটা অংশে ভারী বৃষ্টি এবং শক্তিশালী বাতাস বয়ে যাবে।
নিউজিল্যান্ড-সহ দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এই সময়টা ঘূর্ণিঝড়ের সময়।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা