মাঝে আর মাত্র দুই দিন। তারপরই আসতে চলেছে সেই মহার্ঘ্য মুহূর্ত, যখন ইডেনের বাইশ গজে পড়বে গোলাপি বল। এ দিনই টেস্টের ম্যাসকট পিঙ্ক-টিঙ্কু নেমে পড়ল ইডেনে। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও ইডেনের ঘরের ছেলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, টেস্ট ক্রিকেটের পুনরুজ্জীবনের জন্য এই টেস্ট দরকার ছিল।
সৌরভের বক্তব ‘এটাই রাস্তা ছিল সামনের দিকে তাকানোর। বিশ্বের সর্বত্র রাতে টেস্ট হয়। এটা ভারতে শুরু করা খুব দরকার ছিল’। সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘আসল চ্যালেঞ্জ হল, মানুষকে মাঠে ফিরিয়ে আনা। একটা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘোষণা হলেই বিশ্বের যে কোনও জায়গায় মাঠ ভরে যায়। এই টেস্ট ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাক ম্যাচের চেয়েও কঠিন আয়োজন করা।’
সৌরভ ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘প্রথম তিন দিন ৬৫ হাজার দর্শক মাঠে থাকবেন। এর চেয়ে বড় তৃপ্তির কিছু হয় না।’ সঙ্গে আরও বলছেন, ‘বিরাটের মতো গ্রেট প্লেয়ারদের ভরা স্টেডিয়ামে খেলা উচিত। প্রথম দিন যখন মাঠে নামবে, ভরা মাঠ দেকে ও নিশ্চিত ভাবেই খুশি হবে। ইডেনে দারুণ পরিবেশ থাকবে। কাজেই মাঠে আসুন।’
এ দিকে, দায়িত্বে থাকা কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় আত্মবিশ্বাসী বেশ ভালো উইকেটই ইডেনে থাকবে। বুলবুল এবং গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পিচ তৈরির কাজে যথেষ্ট ক্ষতি হলেও পরিস্থিতি সামলে দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন সুজন। বলছেন, ‘গত সপ্তাহের শেষে ঘূর্ণি ঝড় বুলবুল ও বৃষ্টির জন্য ক্ষতি কম হয়নি। আমাদের ভাগ্য ভালো আবহাওয়া এখন ভালো। পিচের কন্ডিশনও যথেষ্ট ভালো ও তৈরি। আমি নিশ্চিত ভালো ক্রিকেটই দর্শকরা দেখতে পাবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয় আফগানদের
সুজন যোগ করছেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম, টেস্ট ম্যাচের উইকেটে একটা ঘরোয়া ম্যাচ খেলতে। কিন্তু বুলবুল আর বৃষ্টির জন্য সেটা করা যায়নি। তবে পিচে সবার জন্যই কিছু না কিছু থাকবে। সবুজের আভা থাকছে। সঙ্গে ভালো বাউন্স।’
গত দু’দিন আগে ইডেনে এসে পৌঁছেছে গোলাপি রঙের বল। যে বল দু’এক দিনের মধ্যে মূল পিচে পরীক্ষা করবেন সুজন। বলছেন, ‘এখনও পিচে বল পড়েনি। কিন্তু তাতে কোনও তফাৎ হবে না। ইডেনে টেস্ট ম্যাচে পিচ যেমন ব্যবহার করে, তেমনই করবে।’
সুজন যাই বলুন, যা দাঁড়াচ্ছে, একেবারে ‘ভার্জিন’ অর্থাৎ না ব্যবহৃত হওয়া পিচে হতে চলেছে গোলাপি বলে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ। ভারতীয় বোর্ডের পিচ প্রধান আশিস ভৌমিকের ইডেনে এসে যাওয়ার কথা আজকালের মধ্যেই। আবার বিরাট-রোহিতরা শহরে পা রাখছেন আজ মঙ্গলবার। এমনিতেই টিকিটের হাহাকার শুরু হয়েছে শহর জুড়ে, টিম পা রাখার পর তা আরও মাত্রা পাওয়ার কথা।
এসবের সঙ্গে আবার চলে এল দুই গোলাপি ম্যাসকট। নাম রাখা হয়েছে পিঙ্কু-টিঙ্কু। মূলত বাচ্চাদের মধ্যে জনপ্রিয় করার জন্যই ব্যবহার করা হবে পিঙ্কু-টিঙ্কুকে। এ দিন পিঙ্কু-টিকুর সঙ্গে ছবিও তোলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এর সঙ্গে থাকছে দৈত্যাকৃতি গোলাপি বেলুন, যার দৈর্ঘ্য হবে ১৪ ফুট, প্রস্থও তাই। টেস্টের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত গঙ্গায় চলাচল করবে গোলাপি রঙের আলোয় সজ্জিত লঞ্চ।
এ ছাড়া শহর জুড়ে টেস্টের প্রচারে থাকছে ১২টি বিশাল বিলবোর্ড। ছ’টি এলইডি বোর্ড। সোমবার থেকে গোলাপি রঙের ব্র্যান্ডেড বাস চলছে শহর জুড়ে। ইডেনের দেওয়াল জুড়ে তৈরি হচ্ছে গ্রাফিতি। কাজ করছেন ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজের ২০ জন ছাত্রছাত্রী।ইন্ডিয়া টাইমস।
Tweets by CabCricket
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা