ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে পৌনে সাত কোটি টাকা পাচার করে লন্ডনে দুটি ফ্ল্যাট কেনার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ১০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।মঙ্গলবার মামলা দুটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু, এদিন দুর্র্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তা দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ৯ জানুয়ারি কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা–১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শফি উল্লাহ বাদী হয়ে এ দুটি মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন– নাজমুল হুদার স্ত্রী অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা এবং দুই মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা ও শ্রাবন্তী আমিনা হুদা। তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে পৌনে সাত কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তিন লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড স্টার্লিংয়ের সমান অর্থাৎ চার কোটি ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেন। এ অর্থ দিয়ে লন্ডনের ওয়াটার গার্ডেনসের বারউড প্যালেসে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। অন্তরা ও তার মা সিগমা হুদা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে সেই অর্থ বিদেশে পাচার করে ২০০৩ সালের ২৬ জুন বারউড প্যালেসের ফ্ল্যাটটি কেনেন।
সিগমা হুদা ও শ্রাবন্তী আমিনা হুদার বিরুদ্ধে অপর মামলার এজাহারে বলা হয়, তারা জ্ঞাতআয়বহির্ভূত দুই লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড স্টার্লিংয়ের (দুই কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা) সম্পদ অর্জন করে যুক্তরাজ্যে পাচার করেন। ওই অর্থে ২০০৬ সালের ১২ ডিসেম্বর তারা লন্ডনের হেলনি কোর্টের ডেনহাম রোডে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা