অনলাইন ডেস্ক
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম রোববার এসব তথ্য জানায় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক ঘণ্টাব্যাপী বক্তৃতায় মিন অং হ্লাইং একটি “অবাধ ও সুষ্ঠু বহুদলীয় নির্বাচন” করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দেশটিতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত দলকে তিনি “সন্ত্রাসবাদী” বলে অপসারণ করেন। এরপর থেকেই মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অব্যাহত বিক্ষোভে শত শত মানুষ মারা গেছেন।
জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং টেলিভিশনে এক রেকর্ড করা ভাষণে বলেন, আমাদের অবশ্যই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু বহুদলীয় সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমি সুষ্ঠুভাবে বহুদলীয় সাধারণ নির্বাচনের অঙ্গীকার করছি।
এপি জানায়, একটি পৃথক ঘোষণায় সামরিক সরকার ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ এবং মিন অং হ্লাইংকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের হটিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা।
তখন জেনারেলরা বলেন, ২০০৮ সালের সামরিক সংবিধানের অধীনে এই উদ্যোগের অনুমতি দেওয়া আছে। সামরিক বাহিনী দাবি করে, গত বছরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল ভোটে জালিয়াতির মাধ্যমে জয় অর্জন করেছে। তবে, এই অভিযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দেয়নি তারা।
সামরিক সরকার গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে এবং নির্বাচনের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য একটি নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা