জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার এক ব্লগ পোস্টে কোম্পানির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
হোয়াটসঅ্যাপ চালু হয় ২০০৯ সালে। ১৯ বিলিয়ন ডলারে ফেইসবুক এর মালিকানা কিনে নেয় ২০১৪ সালে।
২০১৬ সালে অ্যাপটি ব্যবহার করতেন ১০০ কোটি মানুষ। ২০১৮ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং অ্যাপটির ব্যবহারকারী সংখ্যা ছিল ১৫০ কোটি। প্রতি ২ বছর পরপর অ্যাপটির ব্যবহারকারী সংখ্যা ৫০ কোটি করে বেড়েছে।
তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হোয়াটসঅ্যাপে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবস্থা রয়েছে। এতে করে বাই ডিফল্ট সব তথ্য নিরাপদে থাকে। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপও কোনো ম্যাসেজ পড়তে পারে না বা কল রেকর্ড শুনতে পারে না।
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করবেন যেভাবে
ডেটা এনক্রিপ্টেড করা থাকলে অ্যাকাউন্টে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা সঠিক তথ্য দেখতে পায় না। বিভিন্ন কোড দিয়ে আসল ডেটা ঢেকে রাখা হয়। এই কোড খোলা চেখে কোনো মানুষের পক্ষে ডিক্রিপ্ট করা সম্ভব হয় না। তাই ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই এনক্রিপশন ব্যবস্থা উঠিয়ে নিতে হোয়াটসঅ্যাপকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য হলো, হোয়াটসঅ্যাপের এনক্রিপশন ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে অপরাধীরা আড়ালে থেকে যাচ্ছে।
হোয়াসটঅ্যাপের সিইও উইল ক্যাথকার্ট জানিয়েছেন, এনক্রিপশন ব্যবস্থা ডিজ্যাবল করা হবে না। মানব সভ্যতার ইতিহাসে, সব সময়ই মানুষ গোপনীয়তা বজায় রেখে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছে। আধুনিক যুগে এই সুযোগ কেড়ে নেওয়া উচিত নয়।
অপরাধী ধরার প্রয়োজন হলে সরকারকে মেটাডেটা দেওয়া প্রস্তাব দিয়েছেন ক্যাথকার্ট। সরাসরি তথ্য নয়, তথ্য সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যই হলো মেটাডেটা।
আগামীতে ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের ম্যাসেজিং সার্ভিস একীভূত হয়ে যাচ্ছে। সেখানেও এনক্রিপশন ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা