অনলাইন ডেস্ক
মজুরি নিয়ে চা মালিক- শ্রমিকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালে। সেই চুক্তিতে মজুরি আগের চেয়ে ২০ টাকা বেড়েছিলো। তারপর গত আড়াই বছরে নতুন চুক্তি করেননি মালিকরা, বাড়েনি মজুরি। শ্রমিকদের দাবি- তারা মজুরি বাড়ানোর তাগাদা দিলেও কাজ হয়নি। এর মধ্যে জীবন পালনের ব্যয় অনেক বাড়ায় দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরি দাবি করেন শ্রমিকরা। মালিকরা সর্বোচ্চ ১৪ টাকা বাড়াতে চায়। এখানেই ঘটে বিপত্তি।
শ্রমিক নেতা ও শ্রমিকরা জানান, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বার বার বৈঠক করেও লাভ হয়নি। মালিকদের বক্তব্য, ১৫ বছর ধরে চায়ের দাম বাড়েনি তাই মজুরিও বাড়ানো সম্ভব হয়নি। মজুরি বাড়ালে এই ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে অনেকে এমন আশঙ্কা তাদের।
চা পাতা সংগ্রহ মানেই গাছ থেকে একটি কুঁড়ি-দু’টি পাতা তুলে নেয়া। চা শ্রমিকদের দীর্ঘ কর্মবিরতিতে চা গাছগুলোয় অপ্রয়োজনীয় ডাল-পাতা জমে গেছে। এসব কেঁটে ছেঁটে আবার একটি কুঁড়ি দু’টি পাতা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে বাগান মালিকদের। শ্রমিকদেরও করতে হবে বাড়তি পরিশ্রম। চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিতে সময়ক্ষেপন বাগানগুলোতে পাতার ক্ষতিকে কেবল বড় করেছে।
পঞ্চগড়ের ৯টি ছাড়া বৃহত্তর সিলেট ও ”ট্টগ্রামে ১৫৮টি চা বাগানে ১৩ই আগস্ট থেকে কর্মবিরতিতে যায় চা শ্রমিকরা। তার আগে বাগান থেকে তুলে কারখানায় নেয়া চা পাতাগুলোও শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। মালিকরা বলছে তাদের ক্ষতি হচ্ছে অনেক।
এদিকে, শ্রীমঙ্গলে সরকারি চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের চা বাগানগুলো কর্মমুখর। ১২০ টাকা মজুরিতেই কাজ করছে চা শ্রমিকরা। কারণ তারা বেসরকারি শ্রমিকদের ইউনিয়নভুক্ত নয়। তবে কর্মবিরতির আন্দোলনে চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়লে এখানের সরকারি শ্রমিকদেরও মজুরি বাড়বে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা