বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উদযাপনের ক্ষণ গণনার উদ্বোধন যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসহ্যানয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ চ্যান্সারী ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটির সূচনা করেন । দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।
বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণ গণনার উদ্বোধনের মূহুর্তে হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে সকলে একযোগে এ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন ।
দিনটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রেরিত বাণী অনুষ্ঠানে পাঠ করে শোনানো হয়। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যগণ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় ।
রাষ্ট্রদূত দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনার সূত্রপাত করেন । বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নের্তৃত্বের কথা তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
এই মহান নেতার দীর্ঘ ৯ মাস ১৪ দিন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দীজীবন শেষে ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের কথা তিনি শ্রদ্ধা সহকারে স্মরণ করেন । দীর্ঘ সময়ে বন্দীকালে এ মহান নেতার ত্যাগ, তিতীক্ষা, অসীম সাহস, এমনকি তাঁর ফাঁসির সম্ভাবনাকেও উপেক্ষা করে বাঙ্গালী জাতির মুক্তির জন্য অনড় ও অবিচল ছিলেন তা উল্লেখ করেন। জাতির পিতা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণশক্তি।
তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙ্গালি জাতি মরণযুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনে। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্ভর চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই বিজয়ের পূর্ণতা লাভ করে।
বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসুরী তাঁর কন্যা- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার গত এক দশকে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ এবং ইতোমধ্যে যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে, রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে আলোকপাত করেন । মান্যবর রাষ্ট্রদূত বলেন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল ।
২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হবে এ-আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ দিনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে সকল বাংলাদেশীকে একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণীর আয়োজন করা হয় ।
বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণ গণনা মহুর্তে-র সাথে একযোগে বাংলাদেশ দূতাবাস হ্যানয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এই ক্ষণ গণনার বিশেষ মহুর্ত-কে উদযাপন করা হয়।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা