অনলাইন ডেস্ক
ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৫৯ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল সেইন্ট লুসিয়া। এ রান তাড়া করতে নেমে বিপদে পড়েছিল সেইন্ট কিটসও। হাসেনি এভিন লুইস, ক্রিস গেইলদের ব্যাট। জশুয়া ডা সিলভা, শেরফান রাদারফোর্ডরা স্রেফ চেষ্টাই করতে পেরেছেন, পারেননি দলকে নিরাপদ স্থানে নিতে। শেষমেশ ড্রেকসের ব্যাটে এসেছে জয়।
পুরো আসরে দুর্দান্ত খেলা লুইস এদিন আউট হন ৪ রান করে, রানের খাতাই খুলতে পারেননি গেইল। জশুয়া ৩২ বলে ৩৭ ও রাদারফোর্ড ২২ বলে ২৫ রান করে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন। অধিনায়ক ব্রাভো আউট হন ১১ বলে ৮ রান করে। একপর্যায়ে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৫ রান।
অর্থাৎ জয়ের জন্য ৩৭ বলে প্রয়োজন ছিলো ৬৫ রান। কিন্তু হাতে মাত্র ৫ উইকেট। সেখান থেকে ফাবিয়ান অ্যালেনকে নিয়ে ২৬ বলে ৪৪ রান যোগ করেন ড্রেকস। জয়ের জন্য ২১ রান বাকি থাকতে আউট হওয়ার আগে ১৮ বলে ২০ রান করেন অ্যালেন। একই ওভারে সাজঘরে ফেরেন ২ বলে ৫ রান করা শেলডন কটরেল।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ৬ বলে ৯ রানের। ড্রেকস তখন অপরাজিত ১৯ বলে ৪০ রান নিয়ে। কিন্তু প্রথম চার বলে মাত্র ৪ রান খরচ করেন ডানহাতি পেসার কেসরিক উইলিয়ামস। ফলে শেষ ২ বলে বাকি ৫ রান। পাল্লা তখন ঝুলছিলো সেইন্ট লুসিয়ার দিকেই। তবে ভিন্ন চিন্তা ছিলো ড্রেকসের।
অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলটি এক্সট্রা কভার সজোরে লফটেড ড্রাইভ করেন ড্রেকস। মনে হচ্ছিলো ছক্কাই হয়ে গেছে সেটি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় অল্পের জন্য হয়েছে চার। শেষ বলটি ড্রেকসের ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে চলে যায় ফাইন লেগে, পড়িমড়ি করে দৌড়ে রানটি নেয়ার মাধ্যমেই দলকে চ্যাম্পিয়ন করেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সেন্ট লুসিয়া কিংস: ২০ ওভারে ১৫৯/৭ (রাহকিম কর্নওয়াল ৪৩, রোস্টন চেইস ৪৩, কিমো পল ৩৯; ফাওয়াদ ২/৩২, নাসিম শাহ ২/২৬)।
সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রয়টস: ২০ ওভারে ১৬০/৭ (ডমিনিক ড্রেকস ৪৮*, রাদারফোর্ড ২৫, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ২০)।
ফল: সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: ডমিনিক ড্রেকস।
ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট: রোস্টন চেইস (৪৪৬ রান, ১০ উইকেট)।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা