বাংলাদেশ কানাডীয় বিমান তৈরি প্রতিষ্ঠান বোম্বার্ডিয়ার থেকে আরো দু’টো ন্যারো ড্যাস কিউ ৪০০ টার্বোপ্রপ্স বিমান কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে এবং এব্যাপারে সাশ্রয়ী মূল্যের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠাতে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশনের (সিসিসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এ বছর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে তিনটি সম্পূর্ণ নতুন একই মডেলের স্বল্প পরিসরের বিমান সরবরাহের পর কানাডা সরকারের বাণিজ্য সংস্থা আজ আরো দুটি ৭৪-আসন বিশিষ্ট ন্যারো বিমান বিক্রির প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশ এই আহ্বান জানায়।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ের বাংলাদেশস্থ কানাডিয়ান দূতাবাসের হাইকমিশনার বেনইত প্রিফনটেইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপির সঙ্গে তার দপ্তরে সাক্ষাতকালে এই বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক, কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশনের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক মিজ ইভোনি চিন ও ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনের ট্রেড কমিশনার মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ রাজী হলে কানাডা নতুন উড়োজাহাজ দু’টি ২০২১ সালের মধ্যেই সরবরাহ করতে সক্ষম বলে জানায়। কানাডিয়ান হাইকমিশনারের প্রস্তাবের বিপরীতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি কানাডাকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব প্রেরণের অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক প্রতিনিধিদলকে বলেন, আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব প্রাপ্তির পর বিমান দুটির মূল্য এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় পর্যালোচনা সাপেক্ষে তা সন্তোষজনক হলে বাংলাদেশ নতুন উড়োজাহাজ ক্রয় করতে পারে।
অভ্যন্তরীণ রুটে ও স্বল্প দূরত্বে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এ বছরই মে-জুন মাসের মধ্যে পূর্বে ক্রয়কৃত নতুন তিনটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ ঢাকায় পৌঁছাবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে কানাডার টরেন্টোর সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে কানাডার সহযোগিতা চাওয়া হয়। জবাবে কানাডিয়ান হাইকমিশনার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের প্রস্তাবিত ঢাকা-ম্যানচেস্টার-টরেন্টো ও ঢাকা-রোম-টরেন্টো রুটে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে কানাডার পক্ষ থেকে ফিফ্থ ফ্রিডম অব এয়ার দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। কানাডিয়ান হাইকমিশনার বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠককালে কানাডিয়ান হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে বাংলাদেশ ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো সময় পার করছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা