সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট জাপানে সপ্তাহে চার দিন কর্মদিবস চালু করে ভালো ফল পেয়েছে। অর্থাৎ তিনদিন ছুটি চালু করে ফল মিলেছে হাতেনাতেই। প্রতিষ্ঠানের খরচ তো কমেছেই, সঙ্গে উৎপাদন বেড়ে গেছে প্রায় ৪০ শতাংশ।
দেশটিতে মাইক্রোসফট এই সফলতা পাওয়ার পিছনে যে বিষয়টি কাজ করেছে সেটি হচ্ছে, কোনো মিটিং সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট দীর্ঘ করা। যে কোনো স্থান থেকে মিটিংয়ে যোগ দেবার সুবিধা দেওয়া।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কর্মঘণ্টার কাজ করা দেশ হিসেবে পরিচিত জাপান।২০১৭ সালের একটি জরিপ থেকে দেখা যায়, দেশটিতে প্রতি মাসে একজন কর্মী কম পক্ষে ৮০ ঘণ্টার বেশি ওভারটাইম করে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, জাপানে এমনিতেই শনি ও রোববার সাপ্তাহিক ছুটি। গত আগস্টে মাইক্রোসফট জাপান নতুন কর্মসংস্কার প্রকল্পের অংশ হিসেবে তার ২৩শ’ কর্মীকে শুক্রবারও ছুটি দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
এর ফলাফল নিয়ে শুরুতে কিছুটা শঙ্কা ছিল। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যায় অভূতপূর্ব সাফল্য। ওই মাসে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বেড়ে যায় ৩৯ দশমিক ৯ শতাংশ।
দেখা যায়, ওই সময় কর্মীদের অতিরিক্ত ছুটি নেওয়ার হার কমেছে ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ। বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে ২৩ দশমিক ১ শতাংশ, ফলে ব্যয়ও কমে গেছে প্রতিষ্ঠানের।
মাস শেষে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের ৯২ দশমিক ১ শতাংশ কর্মীই তিনদিন ছুটির বিষয়টি পছন্দ করেছে।
মাইক্রোসফট বলছে, এই নিয়মের আওতায় এনে প্রতিষ্ঠানটি আগের বছরের আগস্টের তুলানায় এবার ২৩ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যয় সাশ্রয় করতে পেরেছে। আর প্রিন্টিং কমাতে পেরেছে ৫৯ শতাংশ।
মাইক্রোসফট বলছে তারা চলতি বছর আগস্টে সব শুক্রবার বন্ধ ছিল এবং তাদের পূর্ণকালীন কর্মীদের বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়েছে।
প্রযুক্তি জায়ান্ট জানিয়েছে যে, তারা এই শীতে দ্বিতীয় ওয়ার্ক লাইফ চয়েস চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে। তবে গ্রীষ্মের মতো আর ‘বিশেষ ছুটি’ দেবে না।তবে কর্মীদের একটা স্মার্ট সময়ের জন্য বিশ্রাম নিতে সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
চীনে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কাজ করার জন্য নাম রয়েছে আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা’র। তিনি দৈনিক ১২ ঘণ্টা কাজ করেন। এমনকি সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করেও তিনি সন্তুষ্ট হতে পারেন না বলে জানিয়েছিলেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা