অনলাইন ডেস্ক
অ্যান্ডারসন-ব্রড-ওকস-স্টোকসদের তো সামলিয়েছেন তিনি দারুণভাবে, তার সাথে ভাগ্যও ছিল লাবুশেনের প্রতি সুপ্রসন্ন। অ্যাশেজের দিবারাত্রির ম্যাচে তিনবার আউট হয়েও প্রতিবারই জীবন ফিরে পেয়েছেন গেলেন এই ডানহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার। ম্যাচের প্রথম দিনে জীবন পেয়েছেন দু’বার। দ্বিতীয় দিনে আবারও স্টোকসের বলে ক্যাচ তুলে দিলেও জস বাটলার মিস করেন দ্বিতীয়বারের মতো। আর সেই সুযোগেই তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি।
প্রায় ছয় ঘন্টা ক্রিজে থেকে ৩০৫ বল খেলে ১০৩ রানে আউট হন এই ব্যাটার। এর আগে তিন অঙ্কে পৌঁছাতে লাবুশেন খেলেছেন ২৮৭ বল। যা কিনা গত ১৫ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ধীরগতির সেঞ্চুরি। এর আগে ২০০৬ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমে অপরাজিত ২০১ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন জেসন গিলেস্পি। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি পেতে তাকে খেলতে হয়েছিল ২৯৬ বল।
এদিকে টেস্ট ক্রিকেটে ন্যূনতম ২ হাজার রান করা ব্যাটারদের মধ্যে ল্যাবুশেনের গড় এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৩৪ ইনিংসে ৬২.৪৮ গড়ে তার রান এখন ২ হাজার ৬২। ৯৯.৯৪ গড়ে ৬,৯৯৬ রান করে সবার উপরে রয়েছেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। গড়ের রেকর্ডে ব্র্যাডম্যানকে ছুঁতে না পারলেও অন্য আরেকটি রেকর্ডে ব্র্যাডম্যানকে ঠিকই ছাড়িয়ে গেছেন ল্যাবুশেন। ক্যারিয়ারের প্রথম ২০ টেস্টে ব্র্যাডম্যানের ৫০ ছাড়ানো ১৫ টি ইনিংস টপকে গেছেন অস্ট্রেলিয়ান এই ব্যাটার। এরই মধ্যে লাবুশেন ১৭টি পঞ্চাশ ছাড়ানোর ইনিংস খেলে ফেলেছেন। তার ১১ ফিফটির সাথে রয়েছে ৬ সেঞ্চুরি।
দিবারাত্রির টেস্ট শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ১৯ জন ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে ১৭ জনই করেছেন একটি করে শতক। পাকিস্তানের আসাদ শফিক করেছেন দুটি সেঞ্চুরি। আর প্রথম ব্যাটার হিসেবে তিন সেঞ্চুরি করলেন ল্যাবুশেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা