পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সকল প্রকার দূষণরোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের উন্নয়ন সহযোগী ইউএস-এইড’র সহায়তা পেলে বন ব্যবস্থাপনা ও বনায়ন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইউএস-এআইডি, বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ডেরিক ব্রাউনের সাথে তার দ্বিপাক্ষিক সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর : বাসস এর।
এসময় তারা বন ব্যবস্থাপনা, বন সম্প্রসারণ, বন্যপ্রাণী চোরাচালান প্রতিরোধ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ ডাটাবেজ প্রতিষ্ঠা, স্যাটেলাইট মনিটরিংসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে ইউএস-এআইডি’র সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, প্রধান বন সংরক্ষক মো. সফিউল আলম চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ. কে. এম রফিক আহাম্মদ, ইউএস-এআইডি, বাংলাদেশের ইকোনমিক গ্রোথ অফিসের অফিস ডিরেক্টর ড. জন স্মিথ স্রিন, ডেপুটি অফিস ডিরেক্টর (এনভায়রনমেন্ট, এনার্জি এন্ড এন্টারপ্রাইজ টিম) ড. প্যাট্রিক মেয়ারসহ উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ইউএস-এআইডি, বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর বলেন, তার সংস্থাটি আগামী ৫ বছর বন ব্যবস্থাপনা, বন্যপ্রাণী চোরাচালান রোধ, মনিটরিং প্রভৃতি বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়। এক্ষেত্রে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অভ এগ্রিকালচার বা ফরেস্ট সার্ভিস এবং ইউএস-এআইডি’র সাথে বাংলাদেশ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের লক্ষ্যে কাজ করছে তার সংস্থা।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট ডাটাবেইজ প্রতিষ্ঠা, কর্মকর্তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতেও কাজ করা হবে। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের উত্তর পূর্ব অঞ্চল, চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকা, টেকনাফ ও সুন্দরবন এলাকার প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করা হবে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা