অনলাইন ডেস্ক
এদিকে নেপালে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অনেকে। উদ্ধারকাজ অব্যাহত থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নেপালি কর্তৃপক্ষের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
নেপালি জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ১১টা ৪৭ মিনেটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রবিন্দু ছিল জাজারকোট জেলায়। নেপাল ছাড়াও শক্তিশালী এই ভূমিকম্প ৫০০ কিলোমিটার দূরের দিল্লি ও উত্তর ভারতে অনুভূত হয়েছে।
জাজারকোট জেলার উপপুলিশ সুপার সন্তোষ রোকা বলেছেন, এই ভূমিকম্পে জাজারকোট ও পশ্চিম রুকুম অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুধু জাজারকোটেই ৯২ জন মারা গেছেন। এদের নালগড় পৌরসভার ডেপুটি মেয়র সরিতা সিংও রয়েছেন।
জাজারকোট জেলার আরেক কর্মকর্তা সুরেশ সুনার ফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, অন্তত ২০ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল। একই সঙ্গে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
নেপালে ভূমিকম্প সাধারণ ঘটনা। প্রায়ই এই দেশে ভূমিকম্প হয়ে থাকে। নেপালি সরকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের ১১তম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হলো নেপাল।
গত ২২ অক্টোবর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু ও এর আশপাশের জেলায় ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তার আগে ৩ অক্টোবর নেপালে মাত্র ২৫ মিনিটের ব্যবধানে ৫ দশমিক ৩ এবং ৬ দশমিক ৩ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এসব ভূমিকম্প নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর পাশাপাশি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতেও অনুভূত হয়। তবে এসব ভূমিকম্পের ঘটনায় এখনো কোনো হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
২০১৫ সালে নেপালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সেবারের ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা