অনলাইন ডেস্ক
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল ৪টা থেকে প্রায় সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও রেজিস্ট্রারের মধ্যে হওয়া এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাত ৮ টার দিকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী আবু জাফর হোসাইন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. শামসুজ্জোহা বলেন, ‘আজ বিকাল সাড়ে ৪টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারার আব্দুল লতিফ ও রেজিস্ট্রার সোহরাব আলীর একটি বৈঠক হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে বৈঠকটি আমি নিজেই মধ্যস্থতা করে সেখানে উপস্থিতও ছিলাম। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার সমাধানে আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও সেটা মেনে নিয়ে আন্দোলন স্থগিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী আবু জাফর হোসাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছেন এবং আমরা সেই পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মাঝে অনুষ্ঠিত সব পরীক্ষাতেও আমরা অংশ গ্রহণ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেরকে বলা হয়েছে, তদন্তে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। যদি সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যে আইন দরকার, সেটি এখনো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রনয়ণ হয়নি তাই সেটা প্রনয়ণ করতে সময় দরকার।’
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আগামীকাল (২৭ অক্টোবর) যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর একটি প্রতিনিধি দল এ ঘটনার তদন্তে আসবেন এবং এটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় এখনো কিছু নিয়ম ও আইন প্রনয়ণ হয়নি। তাই সেগুলোও করতে হবে এই সময়ের মধ্যে। তবে আবারও সিন্ডিকেট সভা বসবে।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী ও ভারপ্রাপ্ত ভিসি ট্রেজারার আব্দুল লতিফকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা