মোহাম্মদপুর জাকির হোসেন রোডের খেলার মাঠে মেলা না করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। শনিবার ( ৮ নভেম্বর) এ দাবিতে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ডা. মো. আব্দুল মতিন তাঁর লিখিত বক্তব্যে একটি জাতীয় দৈনিকের সূত্রে প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে বলেন, মোহাম্মাদপুরের জাকির হোসেন রোড সংলগ্ন খেলার মাঠে আবারও মেলা বসেছে। এতে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা অভিযোগ করে বলেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে (ডিএনসিসি) অনেকটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে খেলার মাঠে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ডিএনসিসির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি প্রতি বৃহস্পতিবার এই মাঠে মেলা বসান।
তিনি বলেন, ডিএনসিসির পক্ষ থেকে মাঠের চারপাশের জায়গা দখল করে নির্মিত ফুটপাত ভেঙ্গে দেয়া হয়, তবুও মেলা বন্ধ হয়নি। সবটা মিলে এতে স্থানীয় নাগরিকরা এখন হতাশ। মেলা বসানোর কারণে মাঠের আশেপাশের বাসিন্দারা বিপাকে পড়েছেন। কারণ, মেলার দিনে এই এলাকা দিয়ে স্বাভাবিক চলাচলের উপায় থাকে না। কয়েক বছর ধরে সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার জাকির হোসেন রোড-সংলগ্ন খেলার মাঠে মেলা বসছে।
তিনি বলেন, গত বছর ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ করে মাঠটি সংস্কার করা হয়। অথচ এখনই সেটি মেলা বসিয়ে বিনষ্ট করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত অর্থ আয়ের লক্ষ্যে সরকারী মাঠ ধ্বংস করা হচ্ছে। তিনি উক্ত কাউন্সিলরের বিচার দাবী করেন।
তিনি বলেন, ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম দৈনিক প্রথম আলোকে বলেছেন, “কোনো মাঠেই আর মেলা বসবে না। কারণ, আমরা অনেক টাকা খরচ করে এসব মাঠের সংস্কার করেছি এলাকার শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা করার জন্য। মেলা বসিয়ে কেউ মাঠ নষ্ট করতে পারবে না। আমরা এ সুযোগ কাউকে দেব না।’ অথচ বাস্তবে সেখানে নিয়মিতই মেলা বসছে, মাঠটি আরো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। মেয়র জেনেও না জানার ভান করছেন।
মিহির বিশ্বাস বলেন, সরকারকে এক মাঠের জন্য কতবার সিদ্ধান্ত নিয়ে হয় তা আমার জানা নাই। তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায় থাকার পরেও সরকার এ মাঠগুলো এখন রক্ষা করতে পারছে না।
আমিনুর রসুল ঢাকার মেয়রদ্বয়ের উদ্দেশ্যে বলেন, আর কয়েদিন পরেই ভোট আসছে, নিশ্চই আপনারা ভোট চাইতে ভোটাদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইতে যাবেন। যখন জনগন আপনাকে প্রশ্ন করবে আমার ছোট বাচ্চার খেলার মাঠটি আপনি দখলদারদের দিয়েছেন আমার শিশুর মানসিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন আপনি তখন কি উত্তর দিবেন। এখন সময় আছে মাঠগুলো খেলার উপযোগী করে সবার জন্য উম্মুক্ত করে তার পরে ভোট চাইতে যাবেন।
আলমগীর কবির বলেন, আজকাল অনেকেই কথার ছলে বলেন: আর কয়দিন পরে পিঠে অক্সিজেন মাস্ক নিয়ে ঘুরতে হবে। এখন যদিও সেটা কথার চলে কিন্তু ভবিষ্যতে বাঁচার জন্য তা বাস্তবে পরিণত হতে চলছে। তাই তিনি এখনি এ মাঠগুলোকে রক্ষা করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সবাইকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা