অনলাইন ডেস্ক
মুহাররম মাসের গুরুত্ব : হিজরি বর্ষপঞ্জির অন্যতম বৈশিষ্ট হলো, তা সম্মানিত মাস দিয়ে শুরু হয়। আবার সম্মানিত মাস দিয়ে শেষ হয়। মুহাররম মাস হিজরি বর্ষ হিসেবে বছরের সর্বপ্রথম মাস। এটি অতি মহান এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস।
১. সম্মানিত মাস : মুহাররম মাস চারটি হারাম তথা সম্মানিত মাসের অন্যতম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস বারোটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে, তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত, এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অবিচার করো না।’। (সুরা তাওবা, আয়াত : ৩৬)
উল্লিখিত আয়াতে চারটি মাসকে সম্মানিত বলা হয়েছে। তা হলো : জিলকদ, জিলহজ, মুহাররম ও রজব মাস।
আবু বাকরা (রা.) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘বছর ১২ মাসে। তম্মোধ্যে চারটি সম্মানিত। তিনটি মাস ধারাবাহিক। তা হলো, জিলকদ, জিলহজ ও মুহাররম। অপরটি হলো রজব মাস। তা জুমাদা সানি ও শাবানের মধ্যবর্তী। (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর : ২৯৫৮)
২. আল্লাহর মাস : মুহারর মাসের গুরুত্বের আরেকটি কারণ হলো, এটাকে ‘আল্লাহর মাস’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রমজানের পর সর্বোত্তম সিয়াম হলো আল্লাহর মাস মুহাররামের সিয়াম’। (মুসলিম, হাদিস নম্বর : ১৯৮২)
অবশ্য সব মাস মহান আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। তদুপরি মুহাররম মাসকে বিশেষভাবে আল্লাহর মাস বলার পেছনে বিশেষ কারণ রয়েছে। মূলত এই মাসের বিশেষ ফজিলত ও গুরুত্বের কারণে বিশেষভাবে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
৩. রোজা পালন : মুহাররম মাসের গুরুত্বের আরেকটি কারণ হলো, এই মাসের দশম দিন তথা আশুরার দিন সিয়াম পালন করলে আল্লাহ তাআলা এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আশুরার দিনের সাওমের ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশা করি, তিনি পূর্ববর্তী এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৯৭৬)
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা