অনলাইন ডেস্ক
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু ও শেষের ঝড়ে ৭ উইকেট হারিয়ে চলতি বিপিএলের চলতি আসরে সর্বোচ্চ ১৯০ রান তোলে দলটি। রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৬৫ রানে থেমে যায় খুলনার ইনিংস। ২৫ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম।
রান তাড়া করতে নেমে চার ওভার না যেতেই তানজীদ হাসান তামিম (৯) ও রনি তালুকদারের (৭) উইকেট হারায় খুলনা। আন্দ্রে ফ্লেচার ও মেহেদি হাসানের ব্যাটে সেই ধাক্কা সামলেও ওঠার চেষ্টা করছিল দলটি। কিন্তু সপ্তম ওভারে রেজাউর রহমানের বাউন্সে কাঁধে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন ফ্লেচার। ১২ বলে ১৬ রান করেন তিনি। ফ্লেচারকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও তিনি স্বাভাবিক আছেন।
মেহেদী সম্ভাবনা দেখালেও তিনি ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ২৪ বলে ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। অধিনায়ক মুশফিক (১১) দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হন।
ফ্লেচারের কনকাশন সাব হিসেবে সিকান্দার রাজা মাঠে নামেন। তিনি ইয়াসির আলীকে সঙ্গে নিয়ে জুটিও গড়েছিলেন। ১২ বলে ২২ রান করে রাজা আউট হলে ভেঙে যায় ২৪ বলে ৪৩ রানের এই জুটি। ইয়াসির থাকলেও সঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি। একে একে ফেরেন থিসারা পেরেরা (০), ফরহাদ রেজা (৬) ও সোহরাওয়ার্দী শুভ (১)। নবম ও শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ইয়াসির আউট হন ১৯তম ওভারে। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪০ রান।
চট্টগ্রামের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও রেজাউর। ১টি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও বিনি হাওয়েল।
এর আগে শুরু ও শেষে ঝড় তোলে চলতি আসরে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর গড়ে চট্টগ্রাম। লুইস-জ্যাকসে প্রথম দুই ওভারে চট্টগ্রামের আসে ৩২ রান, হারায় ১ উইকেট। আবার শেষ দুই ওভারেও হাওয়েল-নাইমের ব্যাটে সমান ৩২ রান তোলে ১ উইকেট হারিয়ে।
ঝড়ো শুরুর পর অবশ্য দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন জ্যাকস (৭ বলে ১৭)। এরপর আফিফকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালিয়ে যান লুইস। তিনিও থেমে যান পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই, চতুর্থ ওভারে। তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ২৫ রান।
লুইস ফিরলে আফিফের সঙ্গী হন সাব্বির। দুজনে স্ট্রাইক রোটেট করে খেলার চেষ্টা করছিলেন। দুই ওপেনার ফেরায় বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি কমে গিয়েছিল। এ দুজনের জুটি লম্বা হয়নি ভুল বোঝাবুঝিতে। আফিফ ১৩ বলে ১৫ করে ফেরেন রান আউট হয়ে। সাব্বির এবার মিরাজকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন। যদিও সাব্বির তার সহজাত ব্যাটিং করতে পারেননি। ডট বল খেলেছেন শুরু দিকে। মিরাজ দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেছেন। আউট হয়েছেন ২৩ বলে ৩০ রান করে নাভিন উল হকের বলে। সাব্বির ৩২ বলে ৩৩ রান করে ফরহাদ রেজার বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
ক্রিজে থাকা হাওয়েল শামীম পাটোয়ারিকে নিয়ে এগোচ্ছিলেন। তবে শামীম যেন নিজের খোলস ছেড়ে বের হতে পারছেন না। ৬ বলে ৯ করে রানআউট হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর শুরু হয় চট্টগ্রামের শেষের ঝড়। হাওয়েল-নাঈম মাতিয়ে রাখেন মিরপুর। দুজনে চার-ছয়ের ফুলঝুরি ফোটান শেষ দুই ওভারে। যদিও নাঈম শেষ বলে আউট হন স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে। তিনি ৫ বলে ১৫ রান করেন। হাওয়েল ২০ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
খুলনা যেন ক্যাচ আর ফিল্ডিং মিসের মহড়া দিয়েছিল। সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন কামরুল ইসলাম। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন নাভিন উল হক ও ফরহাদ রেজা। নাভিন ছিলেন সবচেয়ে খরুচে, তিনি ৪ ওভারে ৪৮ রান দেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা