মিয়ানমারের বন্দিশিবির থেকে পালাতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন ২২ রোহিঙ্গা। নৌকায় করে মিয়ানমারের একটি শিবির থেকে পালাতে গিয়ে উপকূল থেকে গ্রেফতার হন তারা।
মিয়ানমারের স্থানীয় পুলিশ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর এএফপির।
দু’বছর আগে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর ভয়াবহ শুদ্ধি অভিযান চালায় মিয়ানমারের সেনাসদস্য ও উগ্রপন্থী বৌদ্ধরা।
২০১৭ সালের ওই সামরিক অভিযানে মিয়ানমার থেকে প্রায় ৭ লাখ ৪০ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। তারা এখনও শরণার্থী শিবিরেই রয়েছে। তবে মিয়ানমারে আরও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে বন্দি অবস্থায় আছে।
২০১২ সালের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার আগে থেকেই রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে যাতায়াতের সীমাবদ্ধতা ছিল। শিক্ষা, জীবিকা বা স্বাস্থ্যসেবা সীমাবদ্ধতাকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ‘বর্ণবাদী’ হিসাবে নিন্দা করেছে।
রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকেই বহু বছর ধরে থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রায়ই তারা নৌকায় নিজেদের পাচারের জন্য মানব পাচারকারীদের মোটা অর্থ দিয়ে থাকে।
দেশটির পুলিশ বাহিনীর মুখপাত্র তুন শে শুক্রবার বলেছেন, ‘বুধবার সকালে মোট ২২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। যাদের মধ্য ৯ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী রয়েছেন।
তারা রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্ত্বের কাছাকাছি থিতকায়িপন ক্যাম্প থেকে চারদিন ধরে নৌকায় ভ্রমণ করছে। তারা উপকূলে এসেছিল কারণ তাদের নৌকাটি ফুটো হতে শুরু হয়েছিল।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা