সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে হতদরিদ্রদের জন্য সুস্পষ্ট কোন ধরণের বরাদ্দ বা নির্দেশনা না থাকায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল কাদেরী জয় ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স এক যুক্ত বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে জনজীবন স্তব্ধ হয়ে আছে। বন্ধ রয়েছে পরিবহন, দোকান, শপিং মল সহ প্রায় সকল কিছুই। এতে ক্ষতিগ্রস্থদের সবচেয়ে বড় অংশ হল অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী হতদরিদ্র জনগণ। একদিকে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক অন্যদিকে মালিকপক্ষের প্রতিনিয়ত হুমকিতে কর্মচ্যুতির ভয় এবং এর সাথে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সমন্বয়হীনতার দরুণ কিভাবে শ্রমিকদেরকে ঢাকা থেকে গ্রাম আবার গ্রাম থেকে ঢাকা পায়ে হেঁটে ছোটাছুটি করতে হল তা আমরা সকলেই দেখেছি।
এই ঘটনায় মালিকশ্রেণীর অমানবিক মুনাফালিপ্সা ও তার প্রতি রাষ্ট্রের নীরব সমর্থনকে আরও নগ্নরূপে প্রকাশ পেল। প্রধানমন্ত্রী গত ২৫ মার্চ ভাষণে রফতানি শিল্পে ৫ হাজার কোটি টাকা এবং আজকের সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ শিল্প, সার্ভিস সেক্টর, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং এসএমই খাতে প্রণোদনা, স্বল্প ও বিনা সুদে নানা ঋণসহ মোট ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। আমরা হতবাক হয়ে লক্ষ করলাম যে এই বক্তব্যে কোথাও একবারের জন্যও আমাদের অর্থনীতির শতকরা
৫০ ভাগেরও বেশি অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের যারা, এদের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদে দোকানদার, গ্যারেজ মালিক, ভ্যানগাড়িতে সবজি বিক্রেতা, বস্তিবাসী, হকার, রিকশাচালকসহ অন্যান্য হতদরিদ্রদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন বরাদ্দের কথা আসেনি। মানুষের জীবিকা, বেতন ও চাকরির নিরাপত্তা সরকার নিশ্চিত না করলে হাজার সচেতনতা দিয়েও কোন কাজ হবে না। এরাই আমাদের খাদ্যের যোগান দেয়, এরাই আমাদের পোশাক বানায়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানান সেবা দিয়ে থাকে, এদের শ্রমের উপরেই আমাদের জীবন যাপন নির্ভরশীল। এরাই দেশের সিংহভাগ জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী।
এদের কথা যে সরকার বলে না, তারা কিভাবে জনগণের সরকার বলে নিজেদেরকে দাবি করে? এদেরকে কমিউনিটি সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে রেখে সরকার যদি ভাবে শুধু মালিকদেরকে উদ্ধার করলেই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা যাবে, তবে সেটি হবে পুরো দেশের জন্য আত্মঘাতী ভাবনা। যদি পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায়, তবে এর দায় সরকার ও মালিকপক্ষ উভয়কেই নিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহ্বান রাখেন, সময় থাকতে এই শ্রমজীবী ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে অন্তত আগামী ৬ মাস তাদের জন্য বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করা হোক।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা