অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ৯টায় দেশটির অভিবাসন বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতু রুসলিন জুসোহ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুত্রজায়ার বিশেষ শাখার অফিসারদের সমন্বয়ে একটি এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন গঠন করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে এই চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের মাঝে ৪৩ জন ভারতীয়, ২০ জন বাংলাদেশি এবং ২ জন পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছেন। তাদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ভারতীয় ৪০টি, বাংলাদেশি ২০টি ও পাকিস্তানের ২টি পাসপোর্টসহ মোট ৬৫টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জাল পিএলকেএস ওয়ার্ক পারমিট লাগিয়ে সেগুলো বৈধ করার লোভ দেখিয়ে পাসপোর্টগুলো সংগ্রহ করেছিল দালালরা। প্রত্যেক পাসপোর্টে জাল ভিসা লাগানোর জন্য জনপ্রতি ৬ হাজার রিংগিত অগ্রিম নেয়া হয়েছিল।
সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড একজন ভারতীয় ৪৩ বছর বয়সী পুরুষ। রাজধানী কুয়ালালামপুরের ব্রিকফিল্ড এলাকায় প্রথমে তার অফিসে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট ও জাল ভিসার স্টিকারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
পরে ওই ভারতীয়র স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সেরেমবান রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ৩০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। সে এই সিন্ডিকেট চক্রের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করছিল।
গ্রেফতারকৃতদের অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে একটি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সেমোনিয়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা