অনলাইন ডেস্ক
রানির মরদেহবাহী কফিন এক নজর দেখার জন্য সোমবার রাতভর এডিনবার্গের সেন্ট গিলস ক্যাথেড্রালের আশপাশে হাজার হাজার মানুষ অবস্থান করেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে রানি এলিজাবেথের মরদেহবাহী কফিন লন্ডনে পৌঁছাবে। রানিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজারও মানুষ যখন রাস্তায় ফুল হাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে, তখন অনেকেই রাজতন্ত্রবিরোধী প্ল্যাকার্ডও হাতে নিয়েছেন।
এছাড়াও এডিনবার্গের রয়্যাল মাইল এলাকায় রাজকীয় পদযাত্রা চলাকালীন প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করার দায়ে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজতন্ত্রবিরোধী বিক্ষোভ ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের অভিযোগে গত কয়েকদিনে স্কটল্যান্ডের পুলিশ অন্তত দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া অক্সফোর্ডেও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয় পুলিশ।
লন্ডন মেট্রোপলিটন ও থেমস ভ্যালি পুলিশ বলেছে, জনগণের প্রতিবাদ জানানোর অধিকার রয়েছে। রবিবার তৃতীয় চার্লসকে রাজা ঘোষণার সময় এডিনবার্গের সেন্ট গিলস ক্যাথেড্রালের বাইরে রাজতন্ত্রবিরোধী প্রতিবাদের সময় ২২ বছর বয়সী এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে শান্তি বিঘ্নিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই তরুণী বর্তমানে মুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে তাকে এডিনবার্গের শেরিফ আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি। একই দিনে জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সাইমন হিল নামের ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অক্সফোর্ডে আরেকটি অনুষ্ঠানের সময় সেদিন তৃতীয় চার্লসকে ‘কে রাজা নির্বাচন করেছে’ বলে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা ইনডেক্স অব সেন্সরশিপের প্রধান নির্বাহী রুথ স্মিথ বলেছেন, রাজতন্ত্রবিরোধীদের গ্রেপ্তারের এই ঘটনা ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’। পরিকল্পিত অথবা অনাকাঙ্ক্ষিত এসব ঘটনার উদাহরণ থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে; যাতে এই দেশের নাগরিকরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেন।
আরেক মানবাধিকার সংস্থা লিবার্টির নীতি ও প্রচারণা কর্মকর্তা জোডি বেক বলেছেন, প্রতিবাদ রাষ্ট্রের কোনও উপহার নয়। এটা জনগণের মৌলিক অধিকার।
এদিকে ‘নট মাই কিং’ স্লোগানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রেন্ডে পরিণত করেছেন নেটিজেনরা। রাজতন্ত্রবিরোধীদের গ্রেপ্তারের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। ঝড়ের গতিতে এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর টুইটারে মুহূর্তের মধ্যে হাজার হাজার টুইট করছেন ‘নট মাই কিং’ (#NotMyKing) লিখে। টুইটারে ‘যুগো অ্যান্টিফ্যাসিস্ট’ নামের এক ব্যবহারকারী হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে একটি ভিডিও টুইট করেছেন। সেখানে তিনি যুক্তরাজ্যে ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের দাবি জানিয়েছেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা