অনলাইন ডেস্ক
তবে বাসায় রেখে করোনা রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশর প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদউয়ানুর রহমান।
স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ডক্টর টিভির এক টকশোতে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বাসায় একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধান ছাড়া অনেক অক্সিজেন দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। তবে যাদের মানসিক কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, তারা অক্সিজেন দেওয়ার পরে বাসায় যেতে পারে। আমরা জাতীয় নীতিমালা অনুযায়ীও এটা অনুমোদন করতে পারি না।
প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদউয়ানুর রহমান আরও বলেন, শ্বাসকষ্ট অনেক সময় ভয়ের কারণেও হয়। এটি বাড়তে বাড়তে অনেক সময় আইসিইউ পর্যন্ত লাগতে পারে। ধীরে ধীরে রোগীর অক্সিজেন চাহিদা বাড়বে এবং সেই অনুপাতে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে রক্তে ৯০ শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহ করা।
বিশেষজ্ঞ এ চিকিৎসক বলেন, গত বছর করোনা আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে এবারের সংক্রমণ ধরন অনেকটাই আলাদা। এবার খুব দ্রুতই একজন রোগীর অক্সিজেন দরকার হচ্ছে। অধিকাংশ রোগী হসপাতালে আসতে দেরি করছে। ফলে তারা প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছে না। প্রায় ৫০ শতাংশে রোগী মারা যাচ্ছেন হাসাপাতালে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।
তিনি বলেন, অক্সিজেন নিজের বাসায় রাখার পর যদি মেডিকেল বা চিকিৎসক দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ না করা হয়, তাহলে সেটা কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। এটা দেখার জন্য একজন চিকিৎসক থাকবেন এবং তিনিই সিদ্ধান্ত নিবেন যে, কখন রোগীকে কতটুকু অক্সিজেন দিতে হবে। এটার জন্য অবশ্যই রোগীকে মেডিকেল সংস্পর্শে আসতে হবে।
অধ্যাপক ডা. রিদউয়ানুর রহমান বলেন, একজন সাধারণ মানুষের দ্বারা এটা বোঝা সম্ভব নয়। তবে নিয়ম হচ্ছে অক্সিজেন ঘনত্ব যদি ৯২ এর নিচে হয়, তাহলে তাকে অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে। কিন্তু হঠাৎ করে পালস অক্সিমিটারে কারো ঘনত্ব ৯০ বা ৯১ পাওয়া যেতে পারে। অথবা কিছু রোগী আছে ভয় পেয়ে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাহলে তাদের বড় ধরনের অক্সিজেন ঘাটতি নেই। তাদের অল্প অক্সিজেন দিলেই স্বাভাবিক হচ্ছে। তারপরেও বাসায় বসে অক্সিজেন দেওয়াটা অনেক ঝুঁকির।
তিনি বলেন, মেডিকেল তত্ত্বাবধান ছাড়া অক্সিজেন দেওয়া অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং এটা ভয়ঙ্কর। কারো যদি অক্সিজেন স্যাচুরেশন বা ঘনত্ব ৮০ হয় এবং অক্সিজেন দেওয়ার পর সেটা ৯৫-তে পৌঁছলো। এ সময় রোগী বুঝতে শুরু করবে যে তিনি বাসায় থেকে ভালো আছেন, এটাই তার জন্য ভয়ঙ্কর।
অধ্যাপক রিদউয়ানুর রহমান বলেন, রোগীর সাময়িক ভালো লাগতে পারে। কিন্তু হঠাৎ যে কোনো সময় সেটা নেমে যেতে পারে। এমনকি ৫০ এর নিচে নেমে যেতে পারে। ওই সময় যদি হাসপতালে নিতে দেরি হয়, তাহলে সেটিই মৃত্যুর জন্য বড় ঝুঁকি।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা