অনলাইন ডেস্ক
সোমবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সাম্প্রতিক বন্যা, ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক পর্যালোচনা ও করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, এ বছর মে মাসের ২য় সপ্তাহে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে অবিরামভাবে কয়েক দিন ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়া ভারতের মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরায় কয়েকদিন ধরে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাত হয়। দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের কয়েকদিনের অবিরাম ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে ১৩ মে থেকে পূর্বাঞ্চলের সিলেটের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে এবং সিলেট, সুনামগঞ্জ ও আশেপাশের জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পর্যায়ক্রমে এই বন্যা দেশের ১৮টি জেলায় বিস্তৃতি লাভ করে।
তিনি বলেন, এ বন্যায় সম্পূর্ণ ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮৭ হাজার ৪৪৯ একর জমি আর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৭ হাজার ১৫২ একর। ১৮ হাজার ৪৭৯টি বাড়ি সম্পূর্ণ আর এক লাখ ৬৭ হাজার ১৪৩টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্রিজ ও কালভার্ট সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২২৯টি আর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক হাজার ৪৯৬টি। এছাড়া ৬৬৪ কিলোমিটার পাকা সড়ক এবারের বন্যায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক হাজার ৮৮৬ কিলোমিটার সড়ক। ইট খোয়া দিয়ে নির্মিত ৩১৫ কিলোমিটার সড়ক সম্পূর্ণ আর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৭৬ কিলোমিটার সড়ক। এছাড়া কাঁচা সড়ক সম্পূর্ণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭২১ কিলোমিটার আর আংশিক হয়েছে ছয় হাজার ৮৫ কিলোমিটার।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা