অনলাইন ডেস্ক
এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন কে হবে, তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে এই অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে তোলার সকল কৃতিত্বই ভানুকা রাজাপাকসে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার। পাল্টা আক্রমণের দারুণ এক নিদর্শন সৃষ্টি করে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে ব্যাকফুট থেকে ফ্রন্টফুটে নিয়ে সেছেন এই দুই ব্যাটার। পাকিস্তানের পেস ও স্পিনে অর্ধেক ব্যাটিং অর্ডার ধরাশায়ী হওয়ার পর এই দুই ব্যাটারের জুটিতে সেছে ৩৬ বলে ৫৮ রান। হারিস রউফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেয়ার আগে হাসারাঙ্গা করেন ২১ বলে ৩৬ রান। তবে শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত ব্যাট করে ৪৫ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত ছিলেন রাজাপাকসে। এই বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটারের ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি।
তার আগের সব গল্পের নায়ক পাকিস্তানের পেসার ও স্পিনাররা। নাসিম শাহর করা প্রথম ওভারেই দুর্দান্ত এক ইনসুইঙ্গারে উপড়ে গেছে কুশল মেন্ডিসের স্ট্যাম্প। অপর ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাও পারেননি আগের ম্যাচের ফর্ম এই ম্যাচে টেনে আনতে। ১১ বলে ৮ রান করে হারিস রউফকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে বাবর আজমের তালুবন্দি হন তিনি। চারে নামা দানুশকা গুনাতিলাকাও পারেননি সুবিধা করতে। হারিস রউফের আগুনে গোলায় উপড়ে গেছে এই বামহাতির স্ট্যাম্প। কেবল তিনে ব্যাট করতে নামা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ব্যাটেই দেখা গেছে পাল্টা আক্রমণ। তবে ২১ বলে ২৮ রান করে পার্ট টাইম বোলার ইফতিখার আহমেদের হাতেই সফট ডিসমিসাল হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনিও।
এরপর অধিনায়ক দাসুন শানাকাও পারেননি দলকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করতে। শাদাব খানের স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প বোলের ফ্লাইট মিস করে বোল্ড হয়ে মাত্র ২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। তবে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে নিয়ে ভানুকা রাজাপাকসে চালিয়ে গেছেন পাল্টা আক্রমণ। মোহাম্মদ হাসনাইনকে টার্গেট করা দিয়ে শুরু হয় তাদের পাল্টা আক্রমণ। এরপর পালাক্রমে অন্যান্য বোলারদের ওপরও তারা চালান আক্রমণ। এই দুই ব্যাটারের ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে আসে ৩৬ বলে ৫৮ রান। এরপর চামিকা করুনারত্নেকে নিয়ে ৩১ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন ভানুকা রাজাপাকসে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা