অনলাইন ডেস্ক
১৯৮৬ সালে প্রথম বার কিউবা গিয়েছিলেন মারাদোনা। কাস্ত্রোর সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই শুরু। তারপর অনেক বারই কিউবা গিয়েছেন তিনি। বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ১০ নম্বর জার্সি উপহারও দিয়েছেন।
অবসরে যাওয়ার পর এক সময় মাদক সেবনের জন্য মারাত্মক সমস্যায় পড়েন ম্যারাডোনা। তখন রীতিমতো বিপর্যস্ত অবস্থা তার। পাশে নেই কেউ। সেই সময় তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন কাস্ত্রো। ‘লা পেড্রেরা’ ক্লিনিকে ব্যবস্থা করে দেন মারাদোনার রিহ্যাবের। কিউবার স্বাস্থ্য পরিষেবার সুনাম ছিলই। ক্রমশ সুস্থও হতে থাকেন কিংবদন্তি ফুটবলার। মারাদোনার ঘনিষ্ঠদের মতে, তখন কাস্ত্রো এগিয়ে না এলে প্রাণ বাঁচানোই মুশকিল হয়ে যেত আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের। শরীর এতটাই খারাপ ছিল তার।
সেই সময় ৪ বছর কিউবায় কাটিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। মাঝে মাঝেই সকালে ম্যারাডোনার কাছে আসত কাস্ত্রোর ফোন। খেলা থেকে রাজনীতি, কিছুই বাদ পড়ত না আলোচনায়। নেশায় আসক্তি কাটিয়ে ফেলতে তাকে নিয়মিত উৎসাহ জোগাতেন কাস্ত্রো। ম্যারাডোনা এক বার বলেছিলেন, ‘এমনকি রাত দুটোর সময়ও ফোন করতেন কাস্ত্রো। আমিও সব সময় কথা বলতে প্রস্তুত থাকতাম। কোনও ইভেন্ট থাকলে জানতে চাইতেন, আমি যেতে চাই কি না। এগুলো আমি ভুলব না।’
কাস্ত্রোর কাছে ম্যারাডোনার ঠিক কেমন ছিলেন জানেন? কাস্ত্রো এক বার বলেছিলেন, ‘দিয়েগো আমার গ্রেট ফ্রেন্ড। কোনও সন্দেহ নেই যে ও অসাধারণ এক অ্যাথলিট। আর কিউবার সঙ্গে ম্যারাডোনার বন্ধুত্ব রেখে গিয়েছে কোনও পার্থিব লাভ ছাড়াই।’
২০১৬ সালে মারা যান কাস্ত্রো। ম্যারাডোনা তখন কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, ‘আমার কাছে উনি ছিলেন দ্বিতীয় বাবার মতো। আর্জেন্টিনায় যখন আমার সামনে দরজাগুলো বন্ধ হচ্ছিল, তখন উনি কিউবার দরজা খুলে দিয়েছিলেন।’
কাস্ত্রোর মৃত্যুর পর জাতীয় শোকে যোগ দিতে তখন কিউবায় ছুটে গিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। বলেছিলেন, ‘আমি এই সময় কিউবার মানুষের পাশে থাকতে চাই। আর বিদায় জানাতে চাই আমার বন্ধু ফিদেলকে।’
সেই প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর দিনেই চলে গেলেন ফুটবলের কিংবদন্তি ম্যারাডোনাও। এখন থেকে ফিদেল ক্যাস্ট্রো আর ম্যারাডোনার প্রয়ান দিবস একই দিনে পালিত হবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা