অনলাইন ডেস্ক
রোববার (৪ মে) সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বাঙালি যুবক শহীদ আলতাব আলীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
টাওয়ার হ্যামলেট্স কাউন্সিল, বাংলাদেশ হাইকমিশন, রাজনীতিবিদ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্রিটিশ বাংলাদেশি সচেতন নাগরিকদের উপস্থিতি ও তাদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ আলতাব আলী দিবস পালন উপলক্ষ্যে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।বর্তমান শহীদ মিনারের পাশে হার্টলার স্ট্রিটে সত্তরের দশকের শেষের দিকে বর্ণবাদী হামলায় নিহত ব্রিটিশ বাংলাদেশি যুবক শহীদ আলতাব আলীর প্রতি টাওয়ার হ্যামলেট্স কাউন্সিলের স্পিকারের অনুপস্থিতিতে ও কাউন্সিলের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কেবিনেট মেম্বার আব্দুল ওয়াহিদ শ্রদ্ধা জানান।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষে প্রেস মিনিস্টার আকবর হোসেন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর যৌথভাবে শ্রদ্ধা জানান টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলর কামরুল হোসাইন মুন্না ও সাবেক স্পিকার, কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলর শাফি আহমেদ।
অন্যদের মধ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আলতাব আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও আলতাব আলী ফাউন্ডেশনের সদস্যরা, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ও সামাজিক-রাজনৈতিক নেতারা।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ আলতাব আলীর রুহের মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে স্মরণসভা পরিচালনা করেন কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলর কামরুল হোসাইন মুন্না।
এতে শহীদ আলতাব আলী স্মরণে বক্তব্য দেন কেবিনেট মেম্বার আব্দুল ওয়াহিদ, কেবিনেট মেম্বার শাফি আহমেদ, বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রতিনিধি প্রেস মিনিস্টার আকবর হোসেন, আলতাব আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষে হামিদা ইদ্রীস ও আলতাব আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিসহ আরও অনেকে।
তবে টাওয়ার হ্যামলেট্স লেবার পার্টির বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলরদের কেউ কেউ স্মরণ সভায় উপস্থিত থাকলেও বক্তব্যের সুযোগ পাননি। এ নিয়ে কমিউনিটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, আলতাব আলী (১৯৫৩- ৪ মে ১৯৭৮) একজন বাংলাদেশি নাগরিক, যিনি ১৯৭৮ সালে পূর্ব লন্ডনের হার্টলার স্ট্রিটে বর্ণবিদ্বেষীদের হামলায় নিহত হন। পেশায় তিনি একজন বস্ত্র শ্রমিক ছিলেন।
১৯৭৮ সালের ৪ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ৪০ মিনিটে কাজ শেষে হানবারি স্ট্রিট থেকে শেডওলে বাসস্থানে ফেরার পথে পূর্ব লন্ডনের এডলার স্ট্রিটে বর্ণবাদীদের হাতে খুন হন।
তার মৃত্যুর পর লন্ডনের বাঙালি সম্প্রদায় বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদে নামেন। এসময় বাঙালিদের সঙ্গে লন্ডনে বসবাসকারী আফ্রিকান এবং এশীয়রা প্রতিবাদে যোগ দেন। ফলে অল্পদিনের মধ্যেই আন্দোলন মারাত্মক আকার ধারণ করে। প্রশাসন আলতাব আলীর তিন হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে।
বিচারের পর আদালত ১৯৭৯ সালের জানুয়ারি মাসে তাদের একজনকে ছুরিকাঘাতের জন্য সাত বছরের জেল ও অন্য দুইজনকে সাহায্য করার জন্য তিন বছর করে জেল দেয়।
এরপর থেকে ১৯৯৮ সালে আলতাব আলীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পূর্ব লন্ডনের সেন্টমেরী পার্ক, যেখানে আলতাব আলীকে খুন করা হয়েছিল, সেই পার্ককে আনুষ্ঠানিকভাবে আলতাব আলী পার্ক হিসেবে নামকরণ করা হয়।
আলতাব আলীর বাড়ি বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা