ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২ বছর পূর্র্ণ হচ্ছে আজ সোমবার। ১৯৯৭ সালের এই দিনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ঐতিহাসিক এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই দশকের বেশি সময় ধরে পাহাড়ে বিরাজমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২২ বছরপূতি উপলক্ষে রোববার রাজধানীর হোটেল সুন্দরবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেএসএস (মূল)। এতে সংগঠনটির প্রধান সন্তু লারমা লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২২ বছর অতিক্রান্ত হলেও সরকার চুক্তির মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ অবাস্তবায়িত অবস্থায় রেখে দিয়েছে। চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্যান্য সংগঠন লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে। অন্যদিকে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, অস্ত্রধারী সাজিয়ে জেএসএসের (মূল) সদস্য ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে একের পর এক সাজানো মামলা দেয়া হচ্ছে।
পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে রাজধানী ঢাকা ও তিন পার্বত্য জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে এদিন নানা কর্মসূচির আয়োজন রয়েছে। এরইমধ্যে তৎকালীন শান্তিবাহিনীর সদস্যদের আত্মসমর্পণের স্থান খাগড়াছড়িতে তিন দিনের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করা হয়েছে। রাঙামাটিতেও দিনটি উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে পার্বত্য জেলাগুলোর উন্নয়ন-সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে তিনি পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ২২ বছরপূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য এলাকার অধিবাসীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র শান্তি, শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। পার্বত্য এলাকায় ভূমিবিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বোর্ডের কার্যক্রম আরও গতিশীল ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে সরকার পার্বত্য চট্টাগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০১৪ প্রণয়ন করেছে। পার্বত্যাঞ্চলের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, সেসব এলাকায় ১০ হাজার ৮৯০টি পরিবারের মধ্যে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।’
পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তির কারণ হিসেবে বিবিসি সাতটি কারণ উল্লেখ করেছে। এগুলো হলো : ১. চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া। ২. আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদ নির্বাচন না হওয়া। ৩. ভূমি সমস্যা সমাধান না হওয়া। ৪. সেনাবাহিনীর উপস্থিতি। ৫. পাহাড়িদের বিভেদ। ৬. বাঙালিদের বসতি ও অবিশ্বাস। ৭. পিছিয়ে পড়া উন্নয়ন ও দুর্গম এলাকা।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা