অনলাইন ডেস্ক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিও বলছে, নোভেল করোনাভাইরাস বাতাসবাহিত হতে পারে। তাই ছয় ফুট নয়, দরকার ১৩ ফুটের দূরত্ব। এরকম নির্দেশনার মধ্যে আরও চিন্তা বাড়িয়ে দিলো বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে পানি থেকেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস।
কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির ইনফেকসাস ডিজিস অ্যান্ড ইমিউনোলজি বিভাগের সায়েন্টিস্ট অধ্যাপক ড. শুভজিৎ বিশ্বাসও জানান, “ পানির মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রামিত হতে পারে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”
তিনি আরও জানান, “কোভিড সংক্রমিত মানুষের মল থেকেও ছড়াতে পারে এই রোগ। যদিও সংক্রমণের ভাগ পরীক্ষা সাপেক্ষ। তবে ই-লাইফের সাম্প্রতিকতম গবেষণায় জানা গিয়েছে, কোভিড পজেটিভের এক গ্রাম মলে রয়েছে কোভিডের ১০০ মিলিয়ন আরএনএ। সংখ্যাটা কিন্তু কোনও অংশে কম নয়। ড্রেনের জলে মিশে থাকা সংক্রামিত রোগীর মল যে কত জনকে সংক্রমিত করতে পারে, তা কেউ জানেন না। এই ক্ষেত্রে আরও গবেষণার দরকার।”
তিনি আরও জানান, জ্বর-সর্দি-গলাব্যথা সঙ্গে পেটখারাপও কিন্তু একটা বড় লক্ষণ কোভিড সংক্রমণের।
ভাইরোলজিস্ট ডা. অমিতাভ নন্দী বলছেন, “নিজের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির আশপাশটা পরিষ্কার রাখুন। পানি জমতে দেবেন না। নোংরা পরিবেশে যেমন থাকতে পারে করোনাভাইরাস, তেমনই কোভিড থাকতে পারে মলদ্বারেও। যেটা হয় ক্ষুদ্রান্ত্রে সংক্রমণের কারণে। তাই শৌচকর্মের সময় শুধু হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ছেড়ে দেবেন না। জীবাণুনাশক লিকুইড সোপ দিয়ে পায়ুদ্বারও পরিষ্কার করুন। নাহলে জামাকাপড় বা বসার জায়গা থেকেও সংক্রমণ ঘটতে পারে।”
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা