অনলাইন ডেস্ক
সবশেষ পাকিস্তান সিরিজে ১ ও ২ রানে আউট হওয়ার পর তৃতীয় ম্যাচে ৫০ বলে করেন ৪৭ রান। টপ অর্ডারে শুরুতে ঝড় তুলতে রান পারায় দায় তার ওপর। অথচ তাকে আবারো জাতীয় দল নেওয়া হয়েছে।
আফগানিস্তান সিরিজের জন্য রোববার ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর বাদ দেওয়া লিটনকে আবারো ফেরানো হয়েছে। নেওয়া হয়েছে বিপিএলে ওপেনিংয়ে নেমে মুগ্ধ করা মুনীম শাহরিয়ারকে। সঙ্গে নাঈম শেখও আছেন। ফিরেছেন মুশফিকুর রহিমও।
বিপিএলেও নাঈম শেখ ছিলেন নিষ্প্রভ। বিপিএলে ৮ ম্যাচে মাত্র ৫০ রান করেছেন। মিনিস্টার ঢাকার দলেও তার জায়গা স্থির ছিল না। একাদশের বাইরেও যেতে হয় বাজে পারফরম্যান্সে। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটেই যেখানে সুযোগ হয় না সেখানে কিভাবে জাতীয় দলে সুযোগ পান? প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানালেন, প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই নাঈমকে দলে দেওয়া হয়েছে।
মুঠোফোনে তিনি বললেন, ‘নাঈম শেখ গত এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে আমাদের সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যান। স্ট্রাইক রেট কম, কিন্তু রান তো করেছে সবচেয়ে বেশি। বিপিএলটা ওর খারাপ গেছে। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আমাদের যে আলোচনা হয়েরছ, তাতে মনে হয়েছে তাকে সিস্টেমের মধ্যে রাখা দরকার। সবাই মিলে একমত হয়েই নিয়েছি।’
ওয়ানডে দল ঘোষণার পর নাঈম শেখকে ‘মেন্টালি ডিপ্রেসড’ বলছিলেন মিনহাজুল আবেদীন। সপ্তাহখানেকের ভিতরেই তাকে নিয়ে নুতন আশা দেখা শুরু করেছেন প্রধান নির্বাচক, ‘এজন্যই ওয়ানডে থেকে তাকে বিশ্রাম দিয়েছি। এখন তো অনেক দিন হয়ে গেছে, প্রায় দুই সপ্তাহ! এখন তো ম্যানেজমেন্টের বাইরে আছে। ভেতর ঢুকলে বুঝতে পারব।‘
বিপিএলে আগ্রাসন দেখিয়ে ব্যাটিং করা মুনীম শাহরিয়ারকে নিয়ে বড় আশা প্রধান নির্বাচকের, ‘অনেক দিন থেকেই ও আমাদের নজরে ছিল। এইচপিতে এক বছর ধরে নার্সিং করেছি। আমাদের এইচপির ক্রিকেটার। ওখান থেকে প্রমোট করেছি। বিপিএলে যথেষ্ট ভালো খেলেছে। ধারাবাহিক একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে। টপ অর্ডারে দ্রুত রান তুলতে পারবে বলে আশা রাখি আমরা। এখন বলা মুশকিল (প্রস্তুত কিনা) । আস্তে আস্তে প্রতিষ্ঠিত করব। এখনই ওর ওপরে চাপ দেওয়াটা ঠিক হবে না।’
বিপিএলে লিটনের থেকে যেরকম প্রত্যাশা করা হয়েছিল তেমন করতে পারেননি। ৯ ম্যাচে ২০৯ রান করেছেন। ফিফটি মাত্র একটি। তাকে ফেরানোর পেছনে কারণ ব্যাখায় মিনহাজুল আবেদীন বললেন, ‘লিটনকেও বিশ্রাম দিয়েছিলাম। আবার আনলাম। বিপিএলে ভালো কয়েকটি ইনিংস খেলেছে, কয়েকটিতে ভালো করেনি। ধারাবাহিক ছিল না। তবে টেস্টে সে ভালো খেলছে, ওয়ানডে দলে আছে, ম্যাচ খেলবে। এখন মনে হয়েছে ওকে রাখা দরকার টি-টোয়েন্টিতে।’
বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান সিরিজে মুশফিকুর রহিমকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। যদিও মুশফিকের দাবি ছিল তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিপিএল তারও খুব একটা ভালো যায়নি। ১১ ম্যাচে ২৫১ রান করেছেন। সিনিয়র এই ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতার কারণেই ফেরানো হয়েছে বলে দাবি করলেন মিনহাজুল আবেদীন,
‘অভিজ্ঞতা তো বড় ব্যাপার। সে আমাদের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। আগে পারফর্ম করেছে। আশা করি, আবারও করবে। সিরিজ বাই সিরিজ ভাবছি আমরা। এখনই অত (বিশ্বকাপ) দূর ভাবছি না। আপাতত এই সিরিজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ।’
এদিকে দল থেকে বাদ পড়েছেন সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, নুরুল হাসান সোহান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শামীম হোসেন ও আকবর আলী। সাইফ পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচের পরই বাদ পড়েছিলেন। বাকিদের বাদ দেওয়া হয়েছে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কারণে। বিপিএলে তারা কেউ-ই নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা