ছবি : সংগ্রহ।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, ৪৮টি দৈনিক পত্রিকার প্রচার সংখ্যা লাখেরও বেশি দেশে এক লাখের বেশি প্রচার সংখ্যার জাতীয় দৈনিক পত্রিকা রয়েছে ৪৮টি। এর মধ্যে আটটির প্রচার সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি। এগুলো হলো- বাংলাদেশ প্রতিদিন, প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, ইত্তেফাক, আমাদের সময়, জনকণ্ঠ, সমকাল ও সংবাদ।
মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১ হাজার ২৭৭টি। এর মধ্যে জাতীয় বাংলা দৈনিক ২১৮টি, আঞ্চলিক বাংলা দৈনিক ২৯৩টি এবং ইংরেজি জাতীয় দৈনিক ৪০টি।
লাখের ওপরে প্রচার সংখ্যার দৈনিকের মধ্যে রয়েছে- ভোরের কাগজ, আমাদের নতুন সময়, মানবকণ্ঠ, প্রতিদিনের সংবাদ, ইনকিলাব, বাংলাদেশের খবর, আমার সংবাদ, আমাদের অর্থনীতি, মানবজমিন, ভোরের ডাক, আমার বার্তা, আলোকিত বাংলাদেশ, ভোরের পাতা, নবচেতনা, ঢাকা প্রতিদিন, বর্তমান, মুক্ত খবর, আজকালের খবর, আজকের বিজনেস বাংলাদেশ, বণিক বার্তা, জনতা, খোলা কাগজ, গণকণ্ঠ, জনবাণী, সকালের সময়, হাজারিকা প্রতিদিন, স্বাধীন বাংলা, সংবাদ প্রতিদিন, ভোরের দর্পণ, সময়ের আলো, যায়যায়দিন, আমার সময়, লাখো কণ্ঠ, গণমুক্তি, বাংলাদেশের আলো, শেয়ার বিজ কড়চা, খবর ও সমাজ সংবাদ। সূত্র : জাগো নিউজ।
জাতীয় দৈনিক পত্রিকার মধ্যে কয়েকটির এত বেশি প্রচার সংখ্যা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক আফসান চৌধুরী। তিনি বলেন, এই তথ্য তথ্যমন্ত্রী কোথায় পেলেন তিনি সেটা ভাল বলতে পারবেন। আমার কাছে মনে হচ্ছে ইন্টারনেটের হিটকে তিনি প্রচারসংখ্যা বলছেন। আসলে দেখা দরকার, এই পত্রিকাগুলোর অডিটব্যুরোর সার্কুলেশন কত হয়? এর মধ্যে অনেকগুলো পত্রিকার নামই শুনিনি। তাহলে উনি নিশ্চয় প্রমাণ ছাড়া এটা বলেন নি! এটা অডিট ব্যুরোর সার্কুলেশন বা ইন্টারনেট হিট থেকে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে আমার মনে হয়না, এতগুলো পত্রিকার এত বেশি সার্কুলেশন আছে।
তিনি বলেন, আমি প্রায় ৪৫ বছর পত্রিকাতে কাজ করেছি। এইসব পত্রিকার এত সার্কুলার হবার কথা না। আমার মনে হয়, আমাদের মিডিয়া জগতে স্বচ্ছতার অভাব বড় সমস্যা। কারণ, মিডিয়াকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, আপনার সার্কুলেশন কত? এটা মিডিয়া সঠিক তথ্য টা বলুক। আমি জানি যে, অডিট ব্যুরোর সার্কুলেশন নির্ভরযোগ্য না। তাই যদি হয়, তাহলে সংখ্যাটা কিভাবে পেল, অডিট ব্যুরোর সার্কুলেশনের সংখ্যা এবং হকার এসােসিয়েশনের সংখ্যা এটা মিলিয়ে আসলে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। গণমাধ্যমের স্বচ্ছতার জন্য। কারণ মানুষ গণমাধ্যমকে বিশ্বাস করাই বন্ধ করে দিবে। এতগুলো পত্রিকার এত লক্ষ সার্কুলেশন এটা আসলে একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রীর উচিত সূত্রটা উল্লেখ করা এবং সাংবাদিকদের উচিত এই তথ্য খতিয়ে দেখা।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা