সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার : করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো পৃথিবী যখন অবরুদ্ধ তখন ব্রিটিশ-আমেরিকান টোবাকো কোম্পানির তামাক উৎপাদন, ক্রয়-বিক্রয় অব্যহত রাখার অনুমতি দিয়ে চিঠি ইস্যু করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। যা অত্যন্ত দু:খজনক! অবিলম্বে আত্নঘাতি এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবী জানায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছে, ধূমপায়ী ও তামাক সেবনকারীরা করোনা COVID-19 সংক্রমণের মারাত্নক ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপায়ীদের করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি ১৪ গুণ বেশি! করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য ইমিউন সিস্টেম বা প্রতিরোধ সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। তাই ধূমপান ও সকল প্রকার তামাক সেবন ছেড়ে দিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে সকলকে।
ইতোমধ্যে চীন, ইতালী, ফ্রান্সে COVID-19 সংক্রমণে মৃতদের মধ্যে অধিকাংশ ধূমপায়ী ছিলো বলে গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে।
করোনা প্রতিরোধে সরকার পুরো দেশে ‘লকডাইন’ ঘোষণা করেছে, প্রয়োজনে জরুরী অবস্থা্ও ঘোষণা করা হতে পারে। দেশের অন্যতম বড় সেক্টর গার্মেন্টস্ শিল্প বন্ধ হয়েছে। বলা যায়, দেশের পুরো উৎপাদন ব্যবস্থা স্থবীর। তামাক কোন খাদ্য দ্রব্য বা ঔষধী পণ্য নয়। তারপরও দেশ ও বিশ্বের এমন ক্রান্তিলগ্নে একটি বহুজাতিক তামাক কোম্পানির বিষ শলাকা উৎপাদন অব্যহত রাখার ক্ষেত্রে সরকারের একটি দায়িত্বশীল সংস্থা কর্তৃক এধরনের ‘মামা বাড়ীর আবদার’ মেনে নেওয়া অত্যন্ত দু:খজনক!
বাংলাদেশে ৩৫% মানুষ তামাক ব্যবহার করে। বলাই বাহৃল্য যে, কয়েক কোটি মানুষ করোনা ভাইরাস সংক্রমনের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। তার উপর এমন আত্নঘাতি সিদ্ধান্ত চলমান করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি ও জনস্বাস্থ্যের জন্য নেতিবাচক হতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ” প্রত্যয় বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত করবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ (বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সবিনয় অনুরোধ জানাই।
সরকারের উচিৎ,মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ক্ষতিকর পণ্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। তামাক কোম্পানির মুনাফা অর্জনের পথ সুগম করে দেওয়া কাম্য নয়!
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা