অনলাইন ডেস্ক
শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই’র পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস এ সব তথ্য জানান। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের গ্রেপ্তারের পর হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মহানগরীর মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. শান্ত ইসলাম (২০), সদর উপজেলার পরানগঞ্জ ভাটিপাড়া এলাকার মো. কেরামত আলীর ছেলে মো. আরিফুজ্জামান আরিফ (২২) ও তারাকান্দা উপজেলার নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. রাকিবুল হাসান তপু (২৫)।
জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, নিহত শরীফ চৌধুরী শান্ত এবং হত্যায় জড়িতরা সবাই একে অপরের বন্ধু। তারা নগরীর চরপাড়া এলাকায় একসঙ্গে ফুটপাতে অস্থায়ী দোকান থেকে সাপ্তাহিক চাঁদা তুলতেন। সম্প্রতি নিহত শরীফ আলাদা গ্রুপ করে চাঁদার টাকা তোলা শুরু করেন। পরে গ্রেপ্তারকৃতরা শরীফকে অনেক বুঝিয়ে তাদের গ্রুপে আসতে এবং চাঁদার টাকা ভাগাভাগি করে নিতে বলেন। এতে শরীফ অস্বীকৃতি জানায়। এই ক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনসহ মোট ৫ জন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনামতে বুধবার (৬ এপ্রিল) রাতে ১২টার দিকে মন্ডল প্লাজা, চরপাড়া চৌধুরী ক্লিনিকের গলিতে ওৎপেতে বসে থাকে। এ সময় শরীফ আসতেই তাকে উপর্যুপরি ১৮ বার বুকে-পিঠে ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যায়। তবে শরীফের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে কি না দেখার জন্য আবারও ঘটনাস্থলে আসে। পরে তাকে মৃত পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা শরীফকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। পরে আসামি আরিফুজ্জামান আরিফের দেখানো মতে পরানগঞ্জ ভাটিপাড়া তার নিজ বাড়ির পিছন থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দুটি চাকু আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বাবা শহিদ চৌধুরী দাবি করেন, ‘আমার ছেলে ও গ্রেপ্তারকৃত তিনজনই যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে তাদের দলীয় পদ ছিল না। অল্প কিছু দিনের মাঝে আমার ছেলের যুবলীগের পদ পাওয়ার কথা ছিল। ওই পদ নিয়ে দ্বন্দ্বে আমার ছেলে খুন হয়েছে।’
এ বিষয়ে মহানগর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠান বলেন, ‘শরীফ চৌধুরী নামে কেউ যুবলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। আমি তাকে চিনিও না।’
এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাতে নিহতের বাবা শহিদ চৌধুরী বাদী হয়ে কোতয়ালি মডেল থানা মামলা দায়ের করেন। তাদের বাড়ি জেলার গৌরীপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ায়। তবে বাবার ক্লিনিক ব্যবসার সুবাধে নগরীর চরপাড়ায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন শান্ত।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা