অনলাইন ডেস্ক
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরাবরের মতো এবারও মুখরোচক, নানা স্বাদের ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসিয়েছেন বিক্রেতারা। এসব ইফতারি কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে থেকে ভিড় জমান ক্রেতারা।
ছোলা-মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, শরবতের পাশাপাশি দেখা গেছে ইফতারের নানা রকম আইটেম। প্রতি বছরের মতো এবারও এ ইফতারের অন্যতম বড় আকর্ষণ ‘বড় বাপের পোলায় খায়’ নামে একটি বিশেষ ইফতার। একটি বড় গামলায় বিভিন্ন ধরনের আইটেম দুই হাতে ভালোভাবে মাখিয়ে তারপর ঠোঙায় করে বিক্রি করা হয়। বর্তমানে মূল্য প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কাবাব। এর মধ্যে টেংরি কাবাব, সুতি কাবাব, শিক কাবাব, কাঠি কাবাব উল্লেখযোগ্য। টেংরি কাবাব ৮০ টাকা, শিক কাবাব ১২০ টাকা, কাঠি কাবাব ৭০ টাকা এবং সুতি কাবাব ১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।এছাড়াও রয়েছে বিরিয়ানি, আস্ত মুরগির রোস্ট, কোয়েলের রোস্ট, খাসির আস্ত পা রোস্ট, গরুর হালিম, সবজি নান, দুধ নান, পরোটা, কিমা পরোটা, গরুর মাংসের বিরিয়ানিও।
এর মধ্যে গরুর মাংসের বিরিয়ানি ৩৪০-৪৬০ টাকা, আস্ত মুরগির রোস্ট ৩৪০-৪৪০, গ্রিল ৯০-১১০ টাকা, দুধ নান ৬০-১০০ টাকা, সবজি নান ৮০-৯০, পরোটা ৩০, কিমা পরোটা ৫০-৬০, গরুর হালিম ২০০ থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা, কোয়েল রোস্ট ১০০ টাকা, খাসির আস্ত পা রোস্ট ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব খাবারের পাশাপাশি রয়েছে নানা রকম পানীয়। এর মধ্যে ঘোল লিটার প্রতি ১০০ টাকা, ডেজার্ট ২০০, মোহাব্বতের শরবত ১০০-১২০ টাকা, লাচ্ছি ২২০-২৫০ টাকা লিটার পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ডাব এবং অন্যান্য শরবতও বিক্রি হতে দেখা গেছে।
আনিল হাসান নামে একজন বিক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্র এবং শনিবার কাস্টমার বেশি হয়। আজকে শনিবার সেজন্য কাস্টমার অনেক বেশি।
ধানমন্ডি থেকে ইফতার কিনতে আসেন আহমেদ সায়েম নামে একজন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটি ইফতারি কেনার জন্য অনেক ঐতিহ্যবাহী বাজার। প্রতি বছরই এখান থেকে ইফতার কিনে নিয়ে যাই। আজকেও কিনতে আসলাম। আজকে অনেক মানুষ দেখছি। অবস্থা এমন যে, হাটারও জায়গা নেই।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা