গাজীপুরে কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মহিলা পরিষদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রবিবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে বলেছে, ৯ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি যে, গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানা এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ভাইকে বেঁধে রেখে বোনকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায় যে, ঘটনার শিকার কিশোরী ০৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে তার ছোট ভাইকে নিয়ে চেরাগআলী থেকে রিকশা যোগে আরিচপুর বাসায় যাওয়ার পথে হিমারদীঘি এলাকায় পৌঁছালে ৪ বখাটে জোরপূর্বক রিকশা থেকে নামিয়ে ভিকটিম ও তার ছোট ভাইকে হাত-পা বেঁধে আটকে রাখে। পরে ঘটনার শিকার কিশোরীকে জোরপূর্বক একটি খালি ট্টাকে উঠিয়ে জোরপূর্বক তাকে গণধর্ষণ করে। পুলিশ চার ধর্ষককে আটক করেছে। ঘটনার শিকার কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতায় লক্ষ্য করছে যে, বর্তমানে রাস্তা-ঘাট, গণপরিবহণসহ সর্বত্র নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নারী ও শিশুর নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে এবং নারী ও শিশুর স্বাধীন চলাচল অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কিশোরীকে গণধর্ষণের এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িতদের যথাযথ শাস্তি, ঘটনার শিকার কিশোরীর সুচিকিৎসা, কিশোরী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা, নারীর স্বাধীন চলাচল নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছে। সেই সাথে ধর্ষণের ঘটনায় শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি গ্রহনসহ ধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা