অনলাইন ডেস্ক
তখন পাশের ক্ষেতেই নতুন করে ধানের চারা লাগাচ্ছিলেন আরেক কৃষক কাচুয়া শেখ (৪৮) বলেন, এক বিঘা জমিতে ধান গাড়ছিলাম তার কাঠা দশেক মাইর (নষ্ট হয়েছে) গেছে। এখন তো বেছনও (ধানের চারা) জোগান পারছি না।
আরেক কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, বন্যার পানিতে ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেক ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আবার নতুন করে রোপণ করতে হচ্ছে। বেছন পাই না, বেছনের দাম অনেক বেশি। এই পরিস্থিতিতে আমরা অনেক কষ্টে আছি।
চর রাজিবপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী, এবারের কয়েক দফা বন্যায় কোদালকাটি, মোহনগঞ্জ ও সদর ইউনিয়নের প্রায় ৯৩০ হেক্টর জমির রোপা আমন নষ্ট হয়ে গেছে। তার মধ্যে ৬১৯ হেক্টর আংশিক এবং ৩১১ হেক্টর সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া ৩৫ হেক্টর জমির শাকসবজি নষ্ট হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোদালকাটি ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া, মধ্য চরসাজাই, দক্ষিণ চরসাজাই, শংকর মাধবপুর, পাইকান্টারি পাড়া, মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের চরনেওয়াজী, বড়বের, ভেলামারী, কীর্তনতারি এবং সদর ইউনিয়নের টাঙালিয়াপাড়া, পশ্চিম রাজিবপুর, মরিচাকান্দি, বালিয়ামারী সব বেশ কিছু এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধানের চারা পানিতে ডুবে যাওয়ায় অতিরিক্ত গরমে কয়েক দিনেই পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন নতুন করে চারা লাগানো ছাড়া আর উপায় নেই।
তবে সংকট দেখা দিয়েছে আমন চারার। বন্যায় বীজতলাগুলো নষ্ট হওয়ায় অতিরিক্ত দামে চারা কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। এক পোন (২০ গোণ্ডা) চারার আটির দাম নিচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। ভালো মানের চারার দাম আরো বেশি।
খোরদো বাঁশপাতার থেকে চর রাজিবপুর হাটে চারা কিনতে আসা কৃষক আবু বকর বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছিলাম। বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। তারপর আবার লাগানোর জন্য বেছন (ধানের চারা) কিনলাম কিন্তু দামটা অনেক বেশি।
এ বিষয়ে চর রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রতন মিয়া বলেন, আমরা উপজেলার কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন তৈরি করেছি। আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। যে জমিগুলো নষ্ট হয়েছে কৃষকরা সেগুলোতে নতুন করে চারা রোপণ করছে। আশা করি, কোনো জমি ফাঁকা থাকবে না। যদি কোনো জমি ফাকা থাকেও পরবর্তীতে কৃষকরা আগাম জাতের ফসল লাগাতে পারবে। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের যতোটা সম্ভব সহায়তা দেওয়া হবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা