অনলাইন ডেস্ক
সংক্রমণ আরও কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ প্রযোজন বলে মনে করেন তিনি।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এক বছর পর গত ৬ এপ্রিল পুনরায় বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার। তখন থেকে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ। সেই বিধি-নিষেধের মেয়াদ ২৩ মে অবধি বাড়িয়েছে সরকার।
কিন্তু বাস মালিক-শ্রমিকরা দূরপাল্লার পরিবহন চালুর দাবি তুলেছে। এরপরও গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ‘মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের এই পদক্ষেপ। আর এটা ২৩ মে’র পরেও কি না, সেই সিদ্ধান্ত আমরা এখনই নিতে পারছি না। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ থাকবে আরো বেশ কিছুদিন সময় বন্ধ থাকার।’ দ্রুত সংক্রমণশীল করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন ঠেকাতে দেশটির সঙ্গে সীমান্তও আরও কিছু দিন বন্ধ রাখার সুপারিশ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশ কিছুটা হলেও নিরাপদে আছে। বর্ডার এখন বন্ধ আছে। আগামীতেও বন্ধ থাকবে, এটা আমাদের সুপারিশ থাকবে। যে পর্যন্ত ভারতের অবস্থা মোটামুটি স্বাভাবিক না হয়। ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ায় গত ২৫ এপ্রিল স্থল সীমান্ত পথ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার। বিমান ও ট্রেন চলাচল আগে থেকে বন্ধ রয়েছে।
ভারতের পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতে সরকারি হিসাবেই দৈনিক চার হাজারের বেশি লোক মারা যাচ্ছেন। আক্রান্ত হচ্ছেন সাড়ে তিন থেকে চার লাখ মানুষ।
তবে দূরপাল্লার চালকরা বলেন, সরকারিভাবে দূরপাল্লার বাস বন্ধ রয়েছে। কিন্তু আমাদের সংসার খরচ বন্ধ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে বাস চালাচ্ছি।
দেখা গেছে, মহাসড়কে দিনে গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকলেও রাতে সংখ্যা বেশি থাকে। এছাড়া পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়িসহ বিভিন্ন পরিবহনে কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা