সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার : সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল করোনা দুর্যোগে বিপর্যস্ত শ্রমজীবী মানুষদের তালিকা ও পরিচয়পত্র তৈরি করে বিনামূল্যে খাদ্য এবং বাড়িভাড়া সহায়তা কর্মসূচি চালু করতে বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকার করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা মোকবেলার জন্য ৭২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণাকালে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের খাদ্য সহায়তা আর সকল শ্রমিকের কাজের নিশ্চয়তার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে মোট ৬ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৫ কোটি ৪০ লাখ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক বিশেষত প্রায় ৪ কোটি শ্রমিক যারা দৈনিক কাজভিত্তিক মজুরি চুক্তিতে নিয়োজিত তাদের মাঝে বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট কোন অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি।
অঘোষিত লকডাউন পরিস্থিতির কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত ১২ দিন যাবত পরিবহন শ্রমিক, রিকশা-ভ্যান চালক, ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী, চা-দোকানদার, সেলুন কর্মচারী দিনমজুরসহ দৈনিক শ্রম বিক্রির বিনিময়ে রুটিরুজির সংস্থানকারী শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে চরম অসহায়ত্ত্বের মধ্যে দিনযাপন করছে। ফলে এই শ্রমিকদের অর্ধাহার-অনাহারে জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
প্রচার মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রদানের যত চিত্র দেখা যাচ্ছে, বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। আর ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর ও শিল্পাঞ্চলে বসবাসকারী শ্রমজীবী দিনমজুর মানুষ যারা ভাড়া বাসায় বসবাস করেন তাদের অবস্থা আরও শোচনীয়। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি বাসস্থানের অনিশ্চয়তা তাদের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলছে। অনাহার, বাসস্থানের অনিশ্চয়তা তাদের শারীরিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও দুর্বল করে সাধারণ রোগব্যাধীতে আক্রান্ত করছে। এমতাবস্থায় এই শ্রমজীবী মানুষদের বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি তাদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ব্যায় নিবার্হের জন্য সহায়তা প্রদানও জরুরি।
সরকার ঘোষিত প্রণোদনাই মহামারি পরবর্তী অবস্থায় ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রসারণে সহায়তার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার কৌশল হলেও শিল্প মালিক ও ব্যাবসায়ীদের আচরণে দায়িত্বশীলতা ফুটে ওঠেনি। তারা একধারে ছাঁটাই করে আর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে শ্রমজীবী মানুষকে আরও বেশি অসহায়ত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অতীতের মতো এবারও যেন প্রনোদনার টাকা লুটপাট না হয় সে ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।
করোনা মহামারি থেকে শ্রমজীবী মানুষদের রক্ষা আর করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ যুদ্ধে এই মানুষদের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে তাদের ঘরে খাদ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি নেতৃবৃন্দ কর্মহীন সময়ে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা সহায়তা চালু করাসহ সাধারণ অসুস্থতায় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা